আনিসুর রহমান তপন: আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এশিয়ান হাইওয়েতে ১৭টি সেতু, সাতটি কালভার্ট, একটি টোলপ্লাজা ও দুইটি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনের বিস্তারিত নকশা ও নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। গতকাল সোমবার বনানীর সেতু ভবনে নিজ নিজ পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর লিড পার্টনার অরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড, অরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস কোম্পানি লিমিটেড ও প্যাডকো কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে আসুশী নিশিমুরা এবং মহাব্যবস্থাপক রুহি ঈশি।
এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী সহযোগী পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে স্ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল পিটিওয়াই লিমিটেড, জাপান ব্রিজ এন্ড স্ট্র্যাকচার ইন্সটিটিউট ইন-কর্পোরেশন, এসিই কনসালটেন্টস লিমিটেড, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেড এবং বিসিএল এসোসিয়েটস লিমিটেড।
অনুষ্ঠান শেষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, জাপানের অর্থায়নে ক্রস বর্ডার ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এশিয়ান হাইওয়ে-২ এবং এশিয়ান হাইওয়ে-৪১ এ মোট ১৭টি সেতু ও সাতটি কালভার্টসহ একটি টোলপ্লাজা এবং ২টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মিত হবে। প্রকল্পে জাপান সরকার এক হাজার নয়শ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৭টি সেতুর মধ্যে বেনাপোল-মাদারীপুর সড়কে পাঁচটি সেতু, বারৈয়ারহাট-রামগড় সড়কে আটটি সেতু এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে নির্মিত হবে চারটি সেতু। ওবায়দুল কাদের বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের লিড পার্টনার হিসেবে যৌথভাবে অরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানি
লিমিটেড, অরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস কোম্পানি লিমিটেড ও প্যাডকো কোম্পানি লিমিটেড কাজ করবে। ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের এই চুক্তির মধ্যে কালনা সেতুর নকশা প্রস্তুতও অন্তর্ভুক্ত থাকছে বলে জানান তিনি। পদ্মা সেতুর বেনিফিট নিতে হলে এশিয়ান হাইওয়েতে মিসিং লিংক এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের পাশাপাশি কালনা সেতু নির্মাণ করতে হবে। আগামী চার মাসের মধ্যে কালনা সেতুর নকশাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করে আগামী মার্চে সাতশ মিটার দীর্ঘ চার লেনের এ সেতুর কাজ শুরু করা যাবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. আহমেদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ