পরাগ মাঝি: আর্কটিক সাগরে জলের গভীর থেকে আসা একটি অদ্ভূতুরে ‘গো গো’ আওয়াজের রহস্য উন্মোচন করতে কানাডার সেনাবাহিনী তাদের একটি বিশেষ দল পাঠিয়েছে। আর্কটিক সাগরের শেষ কিনারায় নুনাভাট এলাকায় একটি শিকারি সমাজের লোকেরা গত গ্রীষ্মকাল থেকেই রহস্যময় এক আওয়াজ শোনার কথা জানাচ্ছিলো।
এই ভূতুড়ে আওয়াজের ফলে মাছ শিকারের জনপ্রিয় আস্তানাগুলো থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিলো সব মাছ। আর তা ছাড়া ওই সব এলাকা ছিলো মূলত স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণীদের মধুচক্রের জন্য সুপরিচিত।
নুনাভাট বিধানসভার সদস্য পল কুয়াসা একটি এলাকাকে নির্দেশ করে বলেন, ‘এই এলাকাটি গ্রীষ্ম এবং শীতকালে শিকারের জন্য সুপরিচিত। কিন্তু সারা গ্রীষ্ম চলে গেলো এখানে কিছুই পাওয়া গেলো না। আর যা পাওয়া গেলো তা খুবই সন্দেহজনক।’
স্থানীয়রা একটি রেডিও স্টেশনকে জানিয়েছিলো এই আওয়াজের রহস্য ভেদ করতে। তবে কেউ কেউ বলছিলো, এটি কোনো লোহাখনি কোম্পানির জরিপকাজের ফল হতে পারে। যদিও নিকটবর্তী ব্যাফিনল্যান্ড আইরন মাইন করপোরেশনের পক্ষ থেকে সিবিসি নিউজকে জানিয়েছে যে, জলের নিচে তাদের কোনো যন্ত্রপাতি নেই। তবে, অন্য একটি যুক্তি বলছে ‘গ্রিনপিস’র পক্ষ থেকে হয়তো এমন আওয়াজ করে জলজ প্রাণীদের পালিয়ে যেতে অনুপ্রাণীত করা হচ্ছে। কিন্তু কেউই ওইসব এলাকায় তাদের কোনো কার্যক্রমের চিহ্ন পর্যন্ত দেখেনি।
গ্রিনপিসের মুখপাত্র ফারাহ খান তীব্রভাবে এসব অভিযোগের বিরোধিতা করেন।
কানাডার জাতীয় প্রতিরক্ষা মুখপাত্র অ্যাশলে লিমিয়ার জানিয়েছেন, কানাডার সশস্ত্রবাহিনী এই ব্যাপারটির উপর নজর দিয়েছে। নুনাভাট এলাকার ভূতুড়ে শব্দের রহস্য উন্মোচন করতে তারা ইতোমধ্যে অভিযানে বেড়িয়েছে। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম