শাহানুজ্জামান টিটু: আগামী ১৩ নভেম্বর রোববার নতুন করে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
ওইদিনও অনুমতি না পেলে তখন কি করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অনুমতি চাইতেই থাকব। বিএনপি সুশাসনে বিশ্বাসী বলেই বারবার অনুমতি চাইছে। তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছিল এবং ওই কর্মসূচি পালনের জন্য আমরা অনুমতি চাই। কিন্তু সেই অনুমতি তো দেওয়াই হয়নি বরং আজকে এখানে পুলিশ দেওয়া হয়েছে। তাতে মনে হয় আবারো একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সভা করতে দিন, সাংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, গণতন্ত্রকে তার নিজস্ব ধারায় চলতে দিন, দেশ উপকৃত হবে, জনগণ উপকৃত হবে, রাজনীতি উপকৃত হবে, সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে সুযোগ সৃষ্টি হবে- আপনারাও উপকৃত হবেন। আমরা আগামী ১৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চাই। আশা করি আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আমরা অনুমতি পাব।
সভা সমাবেশের অনুমিত না দেওয়া সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘনÑ এ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সংবিধানে খুব স্পষ্টভাবে বলা আছে সভা সমাবেশ, জনমত সংগঠিত করা, প্রতিবাদ করা এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এরা বরাবরই এসব করতে বাধা দিচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে একই কায়দায় তারা বিরোধী দলের সব সমাবেশগুলোতে বাধা সৃষ্টি করেছে। র্যালি করার অনুমতি দেয় না। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে এবং বিগত সাত বছর একই কায়দায় বিএনপিকে নির্মূল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আমরা একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমাদের যে কর্মকা- ও কর্মসূচি তা সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। আমাদের সংবিধানে এ অধিকার দেওয়া রয়েছে যে, আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে পারব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেজন্যেই গণতান্ত্রিক কর্মসূচিগুলোতে তারা এভাবে বাধা দিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে বিএনপির মতো নির্যাতিত আর কেউ নেই। ১ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পাঁচশতাধিক নেতাকর্মী গুম, কারাগারে আছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপের বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, তা নাহলে জনগণের ধৈর্য্যরে বাধ ভেঙে গেলে কি হবে তা কেউ জানে না। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ