নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করলেন এমপি আব্দুল হাই
রোকনুজ্জামান মিলন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার আহম্মেদ মৃধার মারধরের ঘটনার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই, একটি মহল আমাকে ভিক্টিমাইজ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। গতকাল বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা মেরেছে এবং যারা মার খেয়েছেন তারা সবাই আমার লোক। যারা মোক্তার আহম্মেদ মৃধাকে মারধর করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ আছে। হামলায় যারা জড়িত তাদের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু একটি মহল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তার সাবেক এপিএস জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে শুধুমাত্র আমার উপর দোষ চাপানোর জন্য। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. অজিজুর রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দারসহ আওয়ামী লীগের জেলানেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার আহমেদ মৃধাকে মারধরের ঘটনা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
১৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি ওষুধের দোকানে বসা ছিলেন মোক্তার আহমেদ মৃধা। এসময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী রড ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে।
তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয় ও জখম করে। তার ছেলে গোলাম মুরশিদ মৃধা হামলাকারীদের হাত থেকে বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। হামলাকারিরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সম্পাদনা : তারেক