তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ১৪ দলের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলাকারীদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে। সব অপরাধীদের দ্রুতবিচার আইনে বিচার করা হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে বিব্রত করতেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ লুটেরা খুনিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে তা-বের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গৌর মন্দিরে ১৪ দল আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, এ সমস্ত খুনির দল নাসিরনগরের মানুষদের কলঙ্কিত করেছে। এখানকার মন্ত্রীকে ছোট করে দিয়েছে। যেসব মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদেরও সহায়তা করা হবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলা করলে কারও চাকরি থাকবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া আটকাতেই একের পর এক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তবে আমরা জঙ্গিদের ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছি। তিনি এ হামলার জন্য জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ। ২০১৯ সালে ১৪ দলীয় ভাবেই আমরা নির্বাচনে যাব।
এ সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তখনই নাসিরনগরে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দল কিংবা মুখ দেখে নয় নাসিরনগরে তা-ব চালানো সবাইকে অপরাধী বিবেচনা করে গ্রেফতার করা হবে। শেখ হাসিনার সরকার আগুন সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গিদের ছাড় দেননি। ফলে এ হামলায় যারা জড়িত তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার সরকার এদেশের উপর একটি অসাম্প্রদায়িকতার ছাতা ধরে রেখেছেন। ফলে যারা এ অসাম্প্রদায়িকতা নষ্ট করতে চায় তারাই হামলা করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক মন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রীয় নেতা অসিত বরণ রায়, ন্যাপের ঐক্যের নেতা ইসমাইল হেসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অসিম কুমার ওকিল, তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মুসতাকিন বিল্লা, জাতীয় পার্টির নেতা এজাজ হোসেন, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ড.নিম চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ। সম্পাদনা: আনোয়ার