মিরাজের রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার নাটকীয় জয়
এল আর বাদল: অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েও পরাজয় থেকে রেহাই পেল না বাংলাদেশের ক্রিকেট সেনসেশন মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী। নিজে তেমন কিছু করতে না পারলেও সতীর্থ মুমিনুল হক দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না রাজশাহীর। মাত্র তিন রানে হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় রাজশাহী কিংসের।
গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ইনিংসের শেষ ওভারে রাজশাহীর তিন উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ফলে রোমাঞ্চকর ম্যাচে তিন রানের জয় পেয়েছে খুলনা টাইটান্স। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৭ রান। আবুল হাসান আর মোহাম্মদ সামি ছিলেন উইকেটে। বোলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টি-২০ ক্রিকেটে খুব সহজেই এ লক্ষ্য পার হওয়া যায়। আবার গৌরবময় অনিশ্চয়তায় ঢাকা থাকে শেষের এ মুহূর্তগুলোও। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই অনিশ্চয়তার চূড়ান্ত রূপই দেখলো ক্রিকেট ভক্তরা। টান টান উত্তেজনা। শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত ৩ রানের নাটকীয় এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো খুলনা টাইটান্স।
মাহমুদউল্লার প্রথম বল থেকেই এক রান নিয়ে ফেলেন আবুল হাসান। দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ সামি লেগ বাই থেকে নেন ১ রান। তৃতীয় বলে ওয়াইড। যোগ হলো আরও এক রান। শেষ চার বলে প্রয়োজন ৪ রান। পরের বলেই আরিফুল হকের হাতে দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন আবুল হাসান রাজু।
বল বাকি তিনটা, রান প্রয়োজন ৪। চতুর্থ বলেও উইকেট। এবার আউট হলেন মোহাম্মদ সামি। মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণিতে বোল্ডই হয়ে গেলেন তিনি। সম্ভাবনা তৈরি হলো হ্যাটট্রিকের। ৫ম বলে স্ট্যাম্পিংয়ের জোরালো আবেদন। থার্ড আম্পায়ার কল করে দেখা গেল, আউট হননি নাজমুল হাসান। তবে ওই বলে রানও হয়নি। শেষ বলে প্রয়োজন ৪ রান। একটি বাউন্ডারি মারলেই জয়। সে লক্ষ্যেই মাহমুদউল্লাহকে এগিয়ে এসে খেলতে যান নাজমুল হাসান। কিন্তু ব্যাটেই বল লাগাতে পারেননি। হয়ে গেলেন স্ট্যাম্পিং। শেষ ওভারে এমন নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত ৩ রানে খুলনার কাছে হেরে গেল রাজশাহী। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু