দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপ নিন এবং যুব উদ্যোক্তা তৈরি করুন : প্রধানমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করতে নবগঠিত বিনিয়োগ উন্নয় কর্তৃপক্ষকে (বিআইডিএ) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পাশাপাশি যুব উদ্যোক্তা তৈরির তাগিদও দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বিআইডিএ গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আরও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্যই বিআইডিএ আইন- ২০১৬ অনুযায়ী প্রাইভেটাইজেশন কমিশন এবং বিনিয়োগ বোর্ডকে একত্রিত করে বিআইডিএ গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বৈঠক সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে দেশে আরও যুব উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে কর্মসংস্থান ব্যাংক বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসহ অন্যান্য সুবিধাদি গ্রহণ করেছে। তিনি যুবসমাজ যেন নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই সৃষ্টির জন্য এগিয়ে আসে সে বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করার জন্যও বিআইডিএ কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান।
জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকেও বিআইডিএকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র কৃষিজমিতে যেন কোনো শিল্প-কারখানা গড়ে না ওঠে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে। শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য যে জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে, শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে, সেখানেই গড়ে তুলতে হবে। কোনোক্রমেই কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করা যাবে না।
এছাড়া, বৈঠকে বিআইডিএকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় বিধিমালা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেইন ও এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মিয়ানমারের সফররত বিমানবাহিনীপ্রধান জেনারেল খিন অং মিন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেন, মিয়ানমারের বিমানবাহিনীপ্রধান আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি করা সাইক্লোন সেন্টারগুলোর বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এগুলো তৈরিতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিনিমিয়েও আগ্রহ দেখান। শেখ হাসিনা মিয়ানমারকে বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী আখ্যায়িত করে সবসময়ই উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রাখা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এ দুটি দেশের সম্পর্ক বহু পুরনো এবং দীর্ঘকাল থেকেই এ দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত ও সমুদ্র পথে ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (বিআইডিএ) চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মিয়ো মিন্টও উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : আলাউদ্দিন