সাড়ে ৩ কোটি টাকা লোপাটে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নুরুল আজিজ চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান,নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বন্ধকৃত গার্মেন্ট কারখানার ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই গার্মেন্ট ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুর্নীতিন দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবদুস ছালাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িস্থ জাগরনী টেক্সটাইল মিলের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী, জাগরনী টেক্সটাইল মিলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুবুর রহমান, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক এম এ বাতেন খান (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্য্যলয় শাখার সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হোসনে আরা বেগম, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সাবেক এসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার এম সরোয়ার হোসেন, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সাবেক সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক এটিএম মিজানুর রহমান, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল হোসেন, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি চালু রয়েছে কি না তা যাচাই না করে বন্ধ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এলসি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে করে ব্যাক টু ব্যাক এলসির সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানি শর্তে ডিমান্ড লোন সৃষ্টি করে ডিমান্ড লোনের অর্থ সোনালী ব্যাংক লি. এর ঢাকাস্থ স্থানীয় কার্য্যালয়ের মাধ্যমে হেড ডেবিট করে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৬ টাকা আত্মসাৎ করে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ। একইভাবে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ পোশাক তৈরি না করেই তৈরি পোশাক রপ্তানী করণের নামে জাহাজীকরণের কথা উল্লেখ করে ৫২ লাখ টাকা চেকের ম্যাধমে সরাসরি উত্তোলন কওে আত্মসাত করে। সম্পাদনা : তারেক