কাশ্মীরে দুই দিনে ৩ ভারতীয় সেনা ও ২ গেরিলা নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরে গত মঙ্গল ও বুধবার- দুইদিনে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে তিন ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় কুপওয়াড়া জেলার মছিল সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলায় ১৭ শিখ রেজিমেন্টের জওয়ান সৎনাম সিং নিহত হন। মঙ্গলবার নিহত হয়েছিলেন, প্রেম সিং এবং হরিন্দর কুমার যাদব নামে দুই জওয়ান। আইআরআইবি
বুধবার পাক সেনারা ভারতীয় ঠিকানা ল্য করে মর্টারের পাশাপাশি স্নাইপার হামলা চালায়। ভারতীয় সেনারা পাল্টা জবাবে পাক বাহিনীর এক অগ্রবর্তী পর্যবেণ শিবির নষ্ট করে দেয়। বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ বজ্জর পোস্ট এলাকায় মোতায়েন সৎনাম সিং পাক বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
মঙ্গলবার রাজৌরির নৌসেরা সেক্টরে পাক সেনাদের গুলিতে দুই ভারতীয় জওয়ান নিহত এবং তিনজন আহত হয়। নিহত নায়েক প্রেম সিংয়ের বাড়ি রাজস্থানের বাডমেরে এবং নায়েক হরিন্দর কুমার যাদবের উত্তর প্রদেশের বালিয়াতে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতের প থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বুধবার ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।
অন্যদিকে, বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে উত্তর কাশ্মীরের সোপরে দুই গেরিলা নিহত হয়। তাদের এক অন্য সঙ্গীকে ধরার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ওইদিন সন্ধ্যা ৫ টানাগাদ সোপরে পুলিশ নিজস্ব সূত্রে খবর পায় ২/৩ গেরিলা রফিয়াবাদ এলাকায় দেখা গেছে। এসময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ দল ওই গেরিলাদের সন্ধানে তল্লাশি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী গেরিলাদের উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালেও তারা তাতে কান না দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে ল্য করে গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। উভয়পরে মধ্যে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলার পরে অবশেষে নিহত হয় দুই গেরিলা। তাদের কাছ থেকে দুটি আস্যাল্ট রাইফেল, সাতটি ম্যাগজিন এবং অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ