প্রগতির কথা বললেও অনেক অঙ্গরাজ্যেই নারী গভর্নর নেই
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরেন্টো থেকে
সারা বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, সমতা ও নারী স্বাধীকারের প্রবক্তা হলেও দেশটির মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মাঝে ২৩টি অঙ্গরাজ্যে কখনোই সর্বোচ্চ গভর্নর পদটিতে নারীকে নির্বাচিত করা হয়নি। এই অঙ্গরাজ্যগুলো হচ্ছে আরকানসা, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, ফোরিডা, জর্জিয়া, আইডাহো, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, আইওয়া, মেইন, মেরিল্যান্ড, মিনেসোটা, মিসিসিপি, মিসৌরি, নেভাডা, নিউইয়র্ক, নর্থ ডাকোটা, পেনসেলভেনিয়া, সাউথ ডাকোটা, টেনেসি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন। একই সঙ্গে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল, ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান পার্টি কোনো নারীকে কখনোই নয়টি অঙ্গরাজ্যে গভর্ণর পদের জন্য মনোনীত করেনি। সেগুলো হচ্ছে- জর্জিয়া, আইডাহো, মিনেসোটা, মিসিসিপি, নিউইয়র্ক, ওহাইয়ো, সাউথ ডাকোটা, টেনেসি ও ইউটাহ। আবার ১৯৮২ সাল থেকে আজ অবধি লাগাতার ৭ টার্মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে অধীনস্থ লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নারী থাকলেও গভর্নর হতে দেয়া হয়নি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, কানেটিকাট ও অ্যারিজোনায় উভয় রাজনৈতিক দল থেকে নারী গভর্ণর নির্বাচিত হয়েছেন। নিউ হ্যামশায়ারে উভয় দলের গভর্ণর থাকলেও কিছু সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন গভর্ণর হিসেবে রাজ্যটিতে ভেস্টা এম রয় দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশ্য অ্যারিজোনায় পর পর ভিন্ন দল থেকে দুজন নারী গভর্ণর নির্বাচিত হয়েছেন এবং এ পর্যন্ত সেখানে সর্বাধিক চারজন গভর্ণর হয়েছেন, যাদের তিনজনই পর্যায়ক্রমিক ক্ষমতায় এসেছেন।
একই সঙ্গে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মাঝে নয়টিতে দুই ভিন্ন প্রেক্ষাপটে রেকর্ডসংখ্যক নারী গভর্ণর হয়েছেন। এদের মাঝে প্রথম দফায় ২০০৬ সালের ৪ ডিসেম্বর আলাস্কায় সারাহ পলিনের অভিষেক ঘটলে ও ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি লুইসিয়ানায় ক্যাথলিন ব্লাঙ্কো চলে গেলে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি বেভারলি পার্ডু নর্থ ক্যারোলাইনায় অভিষিক্ত হলে ও ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি ডেলাওয়ারের দায়িত্ব থেকে রুথ অ্যান মিন্নার অবসর নিলে।
এছাড়া অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত নয় তবে কমনওয়েথ হিসেবে বিবেচিত পোর্টোরিকোয় গভর্ণর হিসেবে শিলা মারিয়া ক্যালডেরন ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মেয়র হিসেবে শ্যারন প্রাট কেলি ও বর্তমানে ম্যুরেল বাউজার দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্যে প্রকাশ, এ নিয়ে ২৯ জন নারী গভর্ণর ও মেয়র যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব পালন করেছেন কিংবা করছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে ১৮৭২ সালে নারী অধিকারে সোচ্চার ‘ইকুয়্যাল রাইটস পার্টি’ থেকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ভিক্টোরিয়া কাফলিন উডহালের মতো ২০০৮ কিংবা ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট দলীয় হিলারি কিনটনের ‘ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট’ হওয়ার স্বপ্নটি অপূর্ণ থাকাটা একটি স্বাভাবিক ঘটনাই বটে, কেননা ১৯২০ সালে নারীরা দেশটিতে ভোটাধিকার পায়।
ই-মেইল: নঁশযধৎর.ঃড়ৎড়হঃড়@মসধরষ.পড়স