গ্রাহককে ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
হাসান আরিফ: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, একজন গ্রাহককে বর্তমানে বিদ্যুৎ পেতে ৪০০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডকে (ডেসকো) যাতে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারে সে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে তার মতে এই সময় ৭ দিন হলে ভাল হয়। উন্নত বিশ্বে এই সময় লাগে এক দিন।
গতকাল সন্ধ্যায় ডেসকোর আইএসও সনদ প্রাপ্তি উপলে বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানে গ্রাহক সেবা বাড়াতেও দেশের প্রথম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিটিকে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডেসকোর কর্মকর্তাদের হাতে আইএসও সনদটি হস্তান্তর করা হয়। গত ২৬ আগস্ট এই সনদ পায় ডেসকো। ডেসকোর চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিচার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আহমেদ কায়কাউস বক্তব্য দেন।
ডেসকোর বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ১১ ধরনের কাগজপত্র জমা দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে বিপু বলেন, ‘কী কী কাগজপত্র লাগে, সেই তালিকা দেখে আমি নিজেও ঘাবড়ে গেছি। আমি তো জানতাম না যে এটা অদ্ভুত ব্যাপার।’ যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেগুলোর নাম পড়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বোঝেন কী অবস্থা? একটা সাধারণ লোক যদি সত্যিকারভাবে এই জিনিস করতে যায়। তাই একটা সিস্টেম বের করতে হবে। অনলাইনে যাব, এক পাতার একটি ফরম ফিলাম করব। সাত দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পাবেন গ্রাহকরা, আমি চাই এমন একটি ব্যবস্থা। কত দ্রুত দিতে পারেন সেটা আমাকে বলতে হবে। সংযোগপ্রত্যাশী যে কারো ওই কাগজপত্র জোগাড় করতে দিনের পর দিন লেগে যাওয়ার বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুতের বিল বেশি আসা নিয়েই গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক কোন মাসে কতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, বিদ্যুৎ বিলে সেই ইনডিকেটর থাকলে গ্রাহক সচেতন হতে পারেন। গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে তাতে সাড়া দেওয়া এবং ছয় মাসে একবার গ্রাহকদের কাছ থেকে সেবার মূল্যায়ন নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দেখানো ভিডিও প্রেজেনটেশনে কোনো গ্রাহকের বক্তব্য না থাকায় ােভ প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। আপনাদের কনসেপশনটাই আপনারা আলাদা করে ফেলেছেন। এটা যদি একটা প্রাইভেট কোম্পানি হত, তবে কনসেপটাই তৈরি হত কাস্টমারকে ঘিরে। যেহেতু আপনারা একদম ব্যুরোক্রেসির মধ্যে এখনও রয়ে গেছেন, মনে করছেন আমরাই সব, এ জায়গা থেকে বেরুতে হবে। ডেসকোতে ১০ জনের জায়গায় ৫০ জন আছে কি না সেই অ্যাসেসমেন্ট করতেও কোম্পানিকে নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্টোরে এত পরিমাণ কিনে রেখেছেন সেটার কোনো হিসেব নাই, চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নাই। গোডাউনে গেলে দেখা যায় তার পরে আছে, হাজার হাজার মিটার পড়ে আছে, সেটার কোনো হিসাব নাই। সব খবর আমার কাছে আছে। এসব জিনিস ঠিক করতে হবে, জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ