‘স্বর্ণে মোড়ানো’ বিলাসী জীবন ডোনাল্ড ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচন জমে উঠার শুরু থেকেই জনগণের আস্থা ও আবেগ সঙ্গে ছিলো হিলারি ক্লিনটনের। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন বিল ক্লিনটন পতœী। কিন্তু শেষমেশ রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প’ কার্ডে হোয়াইট হাউস হাতছাড়া হয় এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর। ডেইলি মেইল
বুধবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। সবাইকে চমকে দিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারিকে হারিয়েছেন তিনি। এই ধনকুবেরের সম্পত্তির কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারো। বলা হয়, ম্যানহাটনবাসীকে বিলাসবহুল জীবনযাপন শিখিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানেই ট্রাম্প টাওয়ারের সব থেকে ওপরের তিনটি তলায় স্ত্রী মেলা-নিয়াকে নিয়ে বাস করেন তিনি। তার এই ঠিকানা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেকেই বলে থাকেন, এটা বিশ্বের সব থেকে উঁচু বাসস্থান। কিন্তু আমি নিজে কখনো তা বলি না। তবে এই ঠিকানাটা নিঃসন্দেহে সুন্দর।’ ওয়াশিং পোস্টের দাবি মেনে নিলে ৬৮ তলা কাচের বাড়ির সব থেকে উপরের তিনটি তলায় থাকেন ট্রাম্প। ঠিকানা, ম্যানহাটন ৭২৫ অ্যাভিনিউ। ওই তিনটি তলাকে রাজপ্রাসাদের অনুকরণে সাজিয়েছেন ট্রাম্প। তার প্রায় প্রতিটি ঘরে রয়েছে সোনার ও সোনার জল করা মূর্তি ও অন্যান্য সজ্জা। এমনকি, সেই অ্যাপার্টমেন্টের বাথরুমের পাইপও সোনা দিয়ে তৈরি!
শহরের বাইরেও তো কখনো সময় কাটানোর ইচ্ছা করে বিলিয়নিয়ার এই ব্যবসায়ীর। সেজন্য ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের রয়েছে আস্ত একটা বাগানবাড়ি। ১৯৮৫ সালে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সেটি কিনেছিলেন ট্রাম্প। ২০ একর জায়গার ওপর এই বাগানবাড়ির মধ্যেই রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরের সৈকত। বাড়িটিতে রয়েছে মোট ৫৮টি ঘর, ৩৩টি বাথরুম, ১২টি ফায়ারপ্লেস। সঙ্গে রয়েছে স্পা, সুইমিং পুল, গলফ কোর্স ও টেনিস কোর্ট। এছাড়া সপ্তাহের শেষে বেড়াতে যাওয়ার জন্য নিউ ইয়র্কের বিফোডে একটি প্রাসাদ রয়েছে ট্রাম্পের। তাতেও রয়েছে ৬০টি ঘর। ১৯৯৬ সালে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সেটি কিনেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের বাহনের কথা বলতে শুরু করলে বই ছাপাতে হবে। ট্রাম্পের কাছে রয়েছে একটি হেলিকপ্টার, যাতে ১২ জন সফর করতে পারেন। রয়েছে একটি বোয়িং ৭৫৭ জেট বিমান, যাতে ৪৩ জন চড়তে পারেন। বিমানটিকে চলমান বাড়ি বললে ভুল হয় না। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ