বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেল চালু করলো ভারত
মাছুম বিল্লাহ ও গাজী মিরান : বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেল চালু করেছে ভারত। আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জের মহিশাসন সীমান্ত পর্যন্ত রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির মালিগাঁও থেকে রিমোট কন্ট্রোল টিপে এই নতুন ট্রেনের সূচনা করেন তিনি। এ সময় আসামের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত, মুখ্যমন্ত্রী সর্বনন্দ সনোয়াল, রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাঁই সহ রেলের র্শীষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।- খবর দৈনিক যুগশঙ্খের।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পুনরায় চালু হতে যাওয়া রেল রুটের মধ্যে এটি একটি। বাংলাদেশ অংশে রেল লাইন পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ না হলেও ভারতের অংশে কাজ শেষ হওয়ায় রেল চলাচল শুরু হয়েছে। এখন বাংলাদেশ অংশে কাজ শেষ হলেই দুই দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর ফলে আসামের বরাক উপত্যকাসহ পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ সৃষ্টি হবে।
এই রুটে ট্রেন চলাচলকে ঘিরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত এলাকার স্থানীয় মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
এদিকে এই ট্রেন চালু হওয়ায় আসামের করিমগঞ্জ অঞ্চলের সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস বলেন, করিমগঞ্জ-মহিশাসন ব্রডগেজ রেলপথ চালু হওয়া এক অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনা। এই নতুন রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় পিছিয়ে পড়া এই এলাকায় আর্থিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হল।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে আগে করিমগঞ্জ থেকে মহিশাসন হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে মধ্যে দিয়ে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করত। ভারত-পাক যুদ্ধের পর দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এই রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে এই রেলপথটি পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে। তবে সম্প্রতি আবার এই রেলপথটিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহিশাসন হয়ে বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে কলকাতা এবং দেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে বরাকের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে ট্রেন চলাচল প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন করে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। একবার এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেছে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
আসামের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, করিগঞ্জ , মহিশাসন ব্রডগেজ রেলপথ ও নতুন ট্রেনের উদ্বোধন এক ঐতিহাসিক ঘটনা। অদূর ভাবিষ্যতে এই রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে বরাকের সঙ্গে দেশের মূল ভূখন্ডের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই আশায় বুক বেঁধেছেন এখানকার মানুষ। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম