জলবায়ু পরিবর্তনে অচিরেই প্রভাবিত হবে পৃথিবীর সব প্রাণী
পরাগ মাঝি: জলবায়ুর ক্রমউষ্ণায়নের দ্বারা পরিবর্তীত হচ্ছে পৃথিবীর বেশিরভাগ জীবন। আর অচিরেই এই পরিবর্তনের হাওয়া লাগবে পৃথিবীর সব প্রাণে। শুক্রবার একদল গবেষকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
জার্নাল সায়েন্স’র এক গবেষণায় দেখা গেছে, অভিবাসন প্রক্রিয়া ও জিনগত পরিবর্তনসহ পৃথিবীর ৮২ শতাংশ মূল বাস্তব প্রক্রিয়াই পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে বদলে যাচ্ছে।
প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বর্তমানে ১.৮৭ ফরেনহাইট বেড়ে যাওয়ায় পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে স্থলভাগ, সমুদ্র এবং সাধুপানির এলাকাগুলোতে।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার প্রফেসর এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক দলের সদস্য ব্র্যাট শেফার্স বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে অনেক বড় বড় পরিবর্তন ইতোমধ্যেই ঘটে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘জিনের পরিবর্তন, প্রজাতি বদলে যাওয়া সহ মানসিক এমনকি শারীরিক গঠনেও পরিবর্তনকে মোকাবিলা করতে হবে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর।’
গবেষকরা জানান, এই পরিবর্তনের ফলে মানুষের মধ্যে সম্পূর্ণ নতুন রোগের উপস্থিতি ঘটবে। অসঙ্গতিপূর্ণ উচ্চ উৎপাদনশীল ফসল, খাদ্য এবং মৎস্যচাষ খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
প্রায় ৯৪টি বাস্ত-পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার পর গবেষকরা বলেন, যে হারে এই পরিবর্তনগুলো হচ্ছে সেগুলোর বিনির্মাণ প্রক্রিয়া তত হারে ঘটছে না।
অসুস্থ বনগুলো বিশাল পরিমাণ কার্বন শুষে নিতে ধীরে ধীরে অক্ষম হয়ে পড়ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় সমুদ্রগুলোকেও অস্থির করে তুলছে, বরফ গলে সামুদ্রিক পানির স্তর বেড়ে যাচ্ছে এবং সাইক্লোনগুলো আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ড এবং ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির গবেষক জেমস ওয়াটসন বলেন, ‘আমরা যে ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি তাতে আমাদের মাথা ঘুরে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরেই আমাদের বৈজ্ঞানিক সমাজ এ ধরনের পরিবর্তনগুলোকে প্রত্যাশা করছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে হারে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যদি একই হারে কিংবা তারচেয়েও বেশি হারে আমরা তা ঠেকাতে না পারি তবে পৃথিবীর প্রাণীকূলকে প্রস্তুতি নিতে হবে বড় বড় পরিবর্তন মোকারিলার।’ সূত্র : স্মার্টকুকি,এনডিটিভি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম