ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল সম্ভব হবে না : নৌপরিবহন মন্ত্রী
রফিক আহমেদ: নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে শীতের ঘন কুয়াশায় কোনোভাবেই ফেরি চলাচল করা সম্ভব হবে না। কারণ শীতে ঘন কুয়াশায় ফ্রগ লাইট কোনো কাজ করে না।
গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম। নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, গাড়িতেও যে ফ্রগ লাইট লাগানো হয় সেটিও কিন্তু ঘন কুয়াশায় মধ্যে দূরে কাজ করে না। তবে গত শীতের অভিজ্ঞতায় এবারের শীতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান। পরে তারা স্পিডবোটে চড়ে দৌলতদিয়ার ফেরি ও লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক জিনাত আরা, পুলিশ সুপার সালমা বেগম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ম-ল।
পরে দৌলতদিয়া রেস্ট হাউজে পুলিশের গার্ড অব অনার শেষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দুই মন্ত্রীর সামনে দৌলতদিয়া ও ইলিশা ফেরিঘাটের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বিআইডব্লিউটিএ।
আলোচনা শেষে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সার্বিক চিত্র দেখতেই আমাদের দৌলতদিয়া পরিদর্শনে আসা। তবে দৌলতদিয়া ঘাটের নদী ভাঙন রোধে নৌ মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ ও পানি বিভাগ এই তিন মন্ত্রণালয় আগামী ১৪ তারিখে বসে ঘাট প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ঘাটের ভাঙন রোধের আবশ্যকতা আমরা উপলব্ধি করেছি। পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটের গুরুত্ব অনেক। তাই এই ঘাটকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীর গতি পরিবর্তন হওয়ায় ভাঙন ধরেছে। তাই ভবিষ্যতে নদী ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন