মাছ রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৩১ শতাংশ
হামিদুর রহমান: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। যা মোট মাছ রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯১ দশমিক ৩১ শতাংশ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। চলতি অর্ধবছরের অক্টোবর মাসে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪৬৯ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে চিংড়ি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় বেড়েছে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম