জনকল্যাণের রাজনীতিই জনপ্রত্যাশা
রবিউল আলম
রাজনীতি নিয়ে অনেক কথা হয়। আলোচনা হয়। একই সঙ্গে রাজনীতিতে সন্ত্রাস প্রসঙ্গও আলোচনা নিয়মিত ঘটনা। এ বিষয়ে তো সবাই একমত, রাজনীতি আর সন্ত্রাসী কর্মকা- একসঙ্গে চলতে পারে না। রাজনীতি হলো মানুষের মৌলিক অধিকার সমূহকে সংরক্ষণ করা। অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে তা আদায় করে নেওয়া। সরকারের কোনো ভুল হলে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন, আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অবহিত করা। সরকার জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়ন করবেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেÑ এটাই তো জনপ্রত্যাশা।
সন্ত্রাস দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। আর সমাধান না হলে প্রতিরোধ করে আদায় করে নেওয়ার প্রশ্ন আসবে। যেমন একাত্তরে আমাদের যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে পাকিস্তানিরা সন্ত্রাসী কর্মকা- বলেছে, আর আমরা একে মহান মুক্তিযুদ্ধ বলেছি। স্বাধীনতার পর জাতির জনকের আহ্বানে অস্ত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যার যার কর্ম দিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শান্তির সুযোগ নিয়ে জাতির জনককে ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যা করা হলো। পাকিস্তানের সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান অস্ত্র আমদানি করলেন। উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে অস্ত্র দিলেন। কিন্তু মানুষের যৌক্তিক চাওয়া অস্ত্র দিয়ে দমানো যায় না। সন্ত্রাস দিয়ে রাজনীতি হয় না, ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
জিয়া বুঝেছিলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। খালেদাও বুঝেছেন, ক্ষমতায় থাকতে হলে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে হয়। ক্ষমতায় যেতে হলে মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে এবং জনগণের অধিকার আদায়ে শরিক হতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও আর সন্ত্রাসের রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাওয়া ও টিকে থাকা যাবে না। তাই সময় এসেছে রাজনীতি থেকে সন্ত্রাসকে আলাদা করে চিরতরে নির্মূল করার। রাজনীতি আর সন্ত্রাসী কার্যক্রম একসঙ্গে চলতে পারে না।
লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা: আশিক রহমান