হিলারি-ওবামার উপরই নির্ভর করছে সহিংস বিক্ষোভের পরিণতি
ড. আব্দুল্লাহ হেল কাফি
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ হচ্ছেÑ যখন কোনো নির্বাচন হয় তখন নির্বাচনে জয়ের জন্য অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু যখন তিনি নির্বাচিত হয়ে যান, তখন তিনি সবার রাষ্ট্রপতি। তখন করণীয় হলো, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেমন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের আগে এক ধরনের কথা বলেছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি সে ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি। বরং তিনি গঠনমূলক ও ইতিবাচক কাজ করেছেন। আমার মনে হয়, নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাদাদের ভোট পাওয়া এবং জনপ্রিয়তার জন্য চেষ্টা করেছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি চমৎকার ভাষণ দিয়েছেন। আগের মতো উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলেননি। সুন্দর করে কথা বলেছেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন, দেশকে সামনের দিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। এটাকে আমি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখছি। বিখ্যাত একটি বইয়ে পড়েছিলামÑ যেখানে লেখা আছে, প্রতিটি মানুষের জীবনে শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ এরপর মৃত্যু। একইভাবে প্রতিটি সভ্যতারও এমন হয়। আমরা অনেক সভ্যতা দেখেছি। কিন্তু পরবর্তীকালে সে সভ্যতা আর টিকেনি। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র সারাজীবন এমনই থাকবে এর কোনো মানে নেই। এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। কাজেই এটা হতেই পারে এটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক।
চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতা কতটা প্রভাব ফেলবে আমেরিকা সমাজে তার অনেকটা নির্ভর করবে বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনের উপর। তাদের ভূমিকা কি হয় সেটাই দেখার বিষয়। বারাক ওবামা বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং হিলারি ক্লিনটন যদি ইতিবাচক হোন তাহলে এই সহিংসতা বেশি দূর এগোবে না। আর তারা যদি নেতিবাচক হোন, তাহলে এই বিক্ষোভ, সহিংসতা আরও অনেকদিন চলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটাই বাস্তবতা। হিলারি-ওবামার উপরই অনেকটা নির্ভর করছে তাদের কর্মীসমর্থকদের চলমান সহিংস বিক্ষোভের পরিণতি সামনের দিনগুলোতে কী হয়।
পরিচিতি: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান