‘নিরাপত্তা নেটওয়ার্কে’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবেশাধিকার নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের যৌথ সার্ভিলেন্স নেটওয়ার্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবেশাধিকারের সম্ভাব্যতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী এবং সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। দি গার্ডিয়ান পত্রিকায় এ সম্পর্কিত দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়। এরপরপরই বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করতে থাকেন।
গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ, একই সঙ্গে সার্ভিলেন্স নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকারে উদারিকরণ নীতি অবলম্বন করায় বারাক ওবামার প্রশাসনের সমালোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এমন সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৩ সালে এডওয়ার্ড স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এসএসএ) গোপনীয় নথি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে ওবামার প্রশাসন এ বিষয়ে কোনও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে শুধুমাত্র নিরাপত্তা জোরদার করে।
সম্প্রতি স্নোডেন তার নিরাপত্তার শঙ্কার বিষয় অস্বীকার করায় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্নোডেন জানিয়েছেন, ‘যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিতে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চুক্তি করে, তারপরও আমি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে এত চিন্তিত নয়।’ এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্নোডেনকে একজন ‘গোয়েন্দা’ অবিহিত করে উল্লেখ করেন, ‘স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে।’ গত বৃহস্পতিবার স্নোডেন রাশিয়ার মস্কো থেকে নেদারল্যান্ড কেন্দ্রীক একটি প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছে, ‘পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের গোপন চুক্তির বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি যদি আমাকে খুব বেশি উদ্বিগ্ন করে, তবে আমি ‘খুব গোপনীয়’ তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকবো।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সার্ভার থেকে ফাইল চুরি করে প্রকাশ করার অপরাধে ২০১৩ সাল থেকে স্নোডেন দেশ ছাড়া। তিনি ওই সময় থেকেই রাশিয়ার আশ্রয়ে আছেন। যদিও গত জুলাই মাসে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুপ্তচারবৃত্তিমূলক আইনের আওতায় স্নোডেনকে ফেরত চেয়েছে।