নেপালে ক্যাসিনো বন্ধ, নোট উড়ছে পানশালায়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৫শ’ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিলে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি ভারতের শিলিগুড়ির সিঙ্গিং-বার, ডান্স বার কিংবা ডিস্কোতে। বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রতিদিনই দেদারছে উড়ছে বাতিল হওয়া নোট। কিন্তু ভারতে এই দু’টি নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ নেপালের কাঁকরভিটার দু’টি ক্যাসিনোতে।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে নেপালের মেচিনগর পুরসভার ওই দু’টি ক্যাসিনোয় স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার নেই। ক্যাসিনো সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ঠিকাদার, নানা ধরনের এজেন্ট, উঠতি নেতা, ব্যবসায়ীদের একাংশই ভিড় করেন সেখানে। একটি ক্যাসিনোর প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা। আরেকটির ১০০০ টাকা। মঙ্গলবার রাতে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করার পরেই নেপালের রিজার্ভ ব্যাংকও সেই নোট সে দেশে চলবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তারপরেই আপাতত ঝাঁপ গুটিয়ে ফেলেছেন রমরমিয়ে চলা দু’টি ক্যাসিনোর মালিকেরা। হিন্দুস্তান টাইমস
মেচিনগর পুরসভা সূত্রের খবর, ভারতে নতুন নোট পুরোপুরি চালু হওয়ার পরে ফের ক্যাসিনো দুটি চালু করার কথা ভাবা হবে বলে মালিকপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন। ওই সীমান্তের গা ঘেঁষে রয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ির রানিগঞ্জ-পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানকার প্রধান জগন্নাথ রায় বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় দু-পারের ব্যবসা একে অন্যের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেকটা নেপালের ওপরে নির্ভর করে। আবার নেপালের অনেক ব্যবসাই টিকে রয়েছে আমাদের লোকজনের ভরসায়। কাজেই দেশে নতুন নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে না মেলা পর্যন্ত অনেক কিছুই থমকে থাকবে।’’
নোট বাতিলের জেরে নেপাল সীমান্তের অবাধ বাণিজ্য এখন প্রায় থমকে গেছে। যেমন, রোজ শিলিগুড়ি, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে কয়েকশো ব্যক্তি ওই দু’টি ক্যাসিনোয় যাতায়াত করতেন। যে হেতু পশ্চিমবঙ্গে ক্যাসিনোর অনুমতি নেই, তাই জুয়া খেলার অভিজ্ঞতা হাতে-কলমে পরখ করতে উপচে পড়ত ভিড়। সঙ্গে পানশালা, নাচগান-সহ প্রমোদের হরেক আয়োজন থাকায় প্রতিদিন রাতে সেখানে মুঠো মুঠো ৫০০-১০০০ টাকার নোট উড়ত বলে এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ