ভারতে পুরাতন নোট বদলে ধীরগতি, বাড়ছে অসন্তোষ
পিযুষ ভৌমিক: গত সপ্তাহে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করার পর থেকে পুরাতন নোট বদলের প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর ধীরগতির জন্য বাড়ছে অসন্তোষ। নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকেই ব্যাংকগুলোতে নোট পরিবর্তন করতে আসা মানুষের ঢল নেমেছে। বাজার থেকে কালো টাকা অপসারণের জন্য গত সপ্তাহে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জনগণকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০০ ও ১০০০ রুপির পুরাতন নোট পরিবর্তন করে নিতে বলা হয়েছে। পরিবর্তন করে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত নোট রয়েছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হলেও ব্যাংকগুলোর নোট বদলের প্রক্রিয়ার ধীরগতিতে আশঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবারের মধ্যেই অধিকাংশ এটিএম বুথে নতুন নোট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দেশজুড়ে জনমনে অসন্তোষের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে সৃষ্ট বর্তমান এ পরিস্থিতিকে গরিব মানুষের জন্য বিপর্যয় বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তারা নানা উপায়ে পার পেয়ে যাচ্ছে, সমস্যায় পড়ছে দরিদ্র জনগণ।
জনমনে প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ দোকানে ৫০০ ও ১০০০ রুপির পুরাতন নোট গ্রহণ করা হচ্ছে না, কিছু দোকানে পুরাতন নোট গ্রহণ করা হলেও জিনিসের দাম ১০ গুণ বৃদ্ধিতে বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ব্যাংকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পুরাতন নোট পরিবর্তন করতে না পারাতে সফলভাবে নোট পরিবর্তন করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
ভারতে কালো টাকার পরিমাণ প্রায় ১.২৫ ট্রিলিয়ন রুপি (১৮.৫১ বিলিয়ন ডলার), যার মধ্যে ৬৭০ বিলিয়ন রুপি বাজারে বিরাজমান। এ বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। রয়টার্স। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম