সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নাম বেরিয়ে আসছে : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
রফিক আহমেদ: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলেছেন- ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক হামলা, নির্যাতন ও লুটপাটের ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দুইদিনব্যাপী সভার সমাপ্তি অধিবেশনে গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা প্রস্তাবে বলেন, মহাজোট সরকারের আমলে আশংকাজনকভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা-আক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়কালে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিদারুণ নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিয়ে এবং প্রশাসনকে পেশাগত দক্ষতায় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ না দিয়ে প্রতিটি ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের কৌশল হিসেবে ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চাপানোর প্রচেষ্টা নিয়েছে।
প্রস্তাবে নেতারা আরও বলেন, রাষ্ট্র ও সংবিধানের সাম্প্রদায়িক ও চরম অগণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণœ রেখে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক রেখে এসব সমস্যার সমাধান হবে না। প্রস্তাবে ধর্মীয় ও জাতিগত নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় গৃহীত আরেক প্রস্তাবে বলা হয় দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা করতে হলে সরকারি দল যে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে বিরোধী দলসহ জনগণের জন্যেও সেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সরকারের অসহিষ্ণুতা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। দমন-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগগ্রাম বেগবান করারও আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন- পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মুনিরুর হক বাচ্চু, কাজী সালাউদ্দিন মুকুল, রাশিদা বেগম, মোজাম্মেল হোসেন, রাজবিহারী দাস, সজীব সরকার, ফিরোজ আহমেদ, আলীদাদ খান, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, শহীদুল হক, হালিমা খাতুন ও মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে সুন্দরবন রক্ষায় আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ‘চলো চলো ঢাকায় চলো’ এবং ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।