রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দরকার নেই : আবদুর রব
রফিক আহমেদ : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জনগণের ক্ষতি করে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ দরকার নেই। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে দলটি আগামী ১৯ নভেম্বর বাগেরহাটে জনসভা করে রামপাল অভিমুখে মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
গতকাল শনিবার জেএসডির উদ্যোগে তোপখানা রোডস্থ’ আজ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেললে প্রারম্ভিক বক্তব্যে রব এসব কথা বলেন।
আবদুর রব বলেন, দেশীয় গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হওয়া মাওয়া, খুলনার লবনচরা ও চট্টগ্রামের আনোয়ার কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪ টাকায় পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। আর রামপালে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দামে। এতে ৩০ বছর বিদ্যুৎ পেলে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত দাম দিতে হবে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এরপরও এ বিদ্যুৎকেন্দ্র কার স্বার্থে? কেন সরকার সর্বস্তরের জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র খুবই রহস্যজনকভাবে নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। উপস্থিত ছিলেন জেএসডি নেতা এম এ গোফরান, মো. সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন ও আবদুর রাজ্জাক রাজা প্রমুখ।
আবদুল মালেক রতন লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকার বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা শুধু উপরোক্ত ধ্বংসই সাধন করবে না, অর্থনৈতিকভাবেও দেশকে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের মত একটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জন্য যে চরম ক্ষতিকর এ সম্পর্কে দেশের পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানীসহ সর্বস্তরের জনগণ একমত। সাম্প্রতিককালে ইউনেস্কো, বিশ^ ব্যাংকসহ বিশে^র ১৫০টির অধিক সংগঠনও এ প্রকল্পের প্রতিবাদ করেছে। ভারতের পরিবেশবাদীরাও এ প্রকল্প বন্ধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির দাবিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিকট দাবি জানিয়েছে। সম্পাদনা: কিরণ সেখ