ভিডিও কনফারেন্স সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধারাবাহিকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশবাসীকে দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকা-কে অব্যাহত রাখার জন্য শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাটা জরুরি। এসময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন, যে কোনোভাবেই হোক সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে আমরা প্রশ্রয় দেব না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। কারণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ সকলে আমার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। যে কারণে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ অন্তত নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তুু এখনও কিছু কিছু জায়গায় যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে সেগুলো যেন আর না ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিএনপির কোনো এক নেতা কিছুদিন আগে বলেছিলেন-আওয়ামী লীগ আন্দোলনের কি দেখেছে, নভেম্বর মাসে হবে আসল আন্দোলন।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের আন্দোলন যদি হয় আবারো এই মানুষ খুন করা, মানুষের ঘরবাড়ি পোড়ানো, সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত-নির্যাতন করা এবং এর মাধ্যমে দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করা- সেই আন্দোলন কোনোদিনও মানুষের সমর্থন পাবে না। এই পথ জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটাই চাইব যে, আমাদের দেশের সকলে, যেমন মসজিদের ইমামরা জুম্মার নামাজের আগে যে খুৎবা দেন সেখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সম্পর্কে আমাদের ইসলাম ধর্মে কি আছে, নবীজি কি বলেছেন, কুরআন শরীফে কি বলা আছে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। বিষয়টা মানুষকে ভালোভাবে জানাতে হবে। যাতে কেউ বিপথে না যায়। এ ধরনের আত্মঘাতী পথে পা না বাড়ায়।
প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজশাহী বিভাগের ৫টি স্থানের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন। বিভাগের ৮টি জেলার ২ হাজার ৯৮১টি গ্রামে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই ভিডিও কনফারেন্সের অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে গণভবনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার। সম্পাদনা: কিরণ সেখ