ভারতে ব্যাংকের বাইরে বিশাল লাইন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগবে ৩ সপ্তাহ
অরিজিৎ দাস চৌধুরী, কলকাতা থেকে: বড় নোট বাতিল হয়ে যাওয়ার ৫ দিন পরেও সাধারণ মানুষের চিন্তার শেষ নেই। তবে আজও ব্যাংক খুলবে। কিন্তু সকাল থেকেই ব্যাংকের বাইরে বিশাল লাইন। কেউ কেউ তো গত রাত থেকে ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েই আছেন।
সরকারের চেষ্টার পরেও মানুষের ঝামেলা কমছে না। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বারবার সরকারের উপর আঙ্গুুল তুলছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, বিরোধীরা যা বলার বলুক। আমাদের যেটা করার সেটা করব। সরকার পরিষ্কার বলে দিয়েছে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে এখনও ৩ সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে।
সরকারে এবং রিজার্ভ ব্যাংকের অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার পরও এটিএমে পর্যাপ্ত টাকা পৌঁছায়নি। সাধারণ মানুষ নগদ নোট তোলার জন্য এটিএম এবং ব্যাংকে ঘুরছেন। চিন্তার কথা এই যে, এই দুর্ভোগ এখনও ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। সরকারের বক্তব্য সাধারণ মানুষের চিন্তার কোনো কারণ নেই, আরবি আইয়ের কাছে পর্যাপ্ত নোট আছে।
সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে গতকাল আনবিআই এবং দেশের মুখ্য ব্যাংকগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৈঠকের পরে তিনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ধৈর্য ধরে কাজ করতে। তিনি স্বীকার করেছেন, এটি একটি বিশাল বড় কাজ। রাতারাতি এর হাল ধরে নেওয়া সম্ভব নয়। পুরানো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বদল করার কাজ ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
জেটলি বলেন, ব্যাংকের এটিএম পরিসেবা নিয়ন্ত্রিত হতে আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগতে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন ৫০০ টাকার নোট তৈরির কাজ চলছে। এই নোট খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে আবার যারা এটিএম থেকে ২০০০ টাকার নোট পাচ্ছেন তাদের খুচরো সমস্যা তো আছেই।
দেশের দুলাখের বেশি এটিএম আছে। এবং তাতে নতুন নোটের মত করে তৈরি করার কাজ খুব তাড়াতাড়ি চলছে। এই মেশিনগুলোর সুইচিং গিয়ার বদল করতেই বেশি সময় লাগছে। আসলে এটিএম গুলোকে এখনও নতুন নোটের জন্য তৈরি করা হয়নি। সম্পাদনা : হাসান আরিফ