আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বংশাল থানা বিএনপি অফিস দখলের অভিযোগ
শাহানুজ্জামান টিটু: রাজধানীর কোতোয়ালি বংশাল থানা এলাকায় বিএনপির কার্যালয় দখলে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এদিকে কার্যালয়টি পুনরুদ্ধারে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে যেকোনো সময় দখল, পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, এর আগেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই এ কার্যালয়টি দখলে নিয়েছিল। কিন্তু পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার বিএনপির কয়েকজন কথিত নেতার সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বংশাল থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আবারো কার্যালয়টি দখলে নেয়।
বংশাল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে ৩৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসআই ফারিয়ার, হাজী রিপন (এক এগারোর সময় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগকারী), কাজল, নাদিম, মলিসহ ২ শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপি কার্যালয়টি দখলে নেয়। ৩৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসআই ফারিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও নয়া বাজার ফ্রেঞ্চ রোডে নুরু মিয়ার অফিস দখল করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস করার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বংশাল চৌরাস্তায় অবস্থিত দলের কার্যালয়টি বৃহত্তর কোতোয়ালি থানা বিএনপি, কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলসহ কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহ্যত হচ্ছিল। এখন সেখানে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রধান কার্যালয়ের সাইন বোর্ড ঝুলছে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বলেন, ৯৬ সালেও এ কার্যালয়টি আওয়ামী লীগ দখল করতে গিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছিল। ওই সময়ে ছাত্রদলের ৭জন নেতাকর্মী মারা যায়। এবারও পরিস্থিতি ঘোলাটে করা হচ্ছে। কার্যালয়ের চারপাশে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাহারা দিচ্ছে বলে আমরা দখল কার্যক্রমে বাধা দিতে পারি নাই। তবে নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। পরিস্থিতি যেকোনো সময়ে বিস্ফোরন্মুখ হয়ে উঠতে পারে।
মহানগর বিএনপি নেতা ইউনুস মৃধা জানান, এই কার্যালয় ভবনটি আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে লিজ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয়তলা এবং তৃতীয়তলা দখলে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের এই দখলবাজিতে রাজনীতি এখন অপরাজনীতি হয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং কার্যালয়টি দখলমুক্ত করার দাবি জানাই। সম্পাদনা: আনিসুর রহমান তপন