আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের বদলে হিলারি ক্লিনটনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে ইলেক্টোরাল কলেজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি পিটিশন তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে এতে ৩২ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া
ট্রাম্প ইলেক্টোরাল ভোটে জয় পেলেও হিলারি পপুলার ভোট বেশি পাওয়ায় এ দাবি তুলেছেন তারা। আয়োজকদের লক্ষ্য পিটিশনে ৪৫ লাখ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা।
পিটিশনগুলো দায়েরের জন্য প্ল্যাটফর্ম বলে বিবেচিত চেঞ্জ.অর্গ-এ পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছে। ওই পিটিশনে বলা হয়, ‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। বহু আমেরিকানকে তিনি বলির পাঁঠা বানিয়েছেন। তার যুক্তিহীন আবেগীয় অবস্থান, মিথ্যাচার, তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এবং রাষ্ট্র পরিচালনাজনিত জ্ঞানের অভাব তাকে এ (যুক্তরাষ্ট্র) প্রজাতন্ত্রের জন্য এক বিপজ্জনক ব্যক্তিতে রূপান্তর করেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন অনুযায়ী পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এখনো আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। আর তা হলো ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। অর্থাৎ ইলেক্টররা ১৯ ডিসেম্বর তাদের ভোট দেবেন।
সাধারণত যে প্রার্থীদের নিয়োজিত ইলেক্টররা দলীয় কর্মী হয়ে থাকে। সে কারণে ইলেক্টররা বিশ্বাস ভঙ্গ করা ছাড়া প্রাথমিক ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে। তবে এবার ইলেক্টরদের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর দাবি উঠেছে।
পিটিশনে ইলেক্টরদের আহ্বান করা হচ্ছে, তারা যেন ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে হিলারিকে দেন। কারণ ইলেক্টররা যদি হিলারিকে নির্বাচিত করেন তবে তখন ফলাফল বদলে যাওয়া সম্ভব। অতীতে মাঝে মাঝে অঙ্গরাজ্যের পপুলার ভোটে যে প্রার্থী জিতেছেন তাকে অস্বীকার করে কোনো কোনো ইলেক্টরকে দেখা গেছে অন্য প্রার্থীকে ভোট দিতে। তবে ২৪টি অঙ্গরাজ্যে সে সুযোগ নেই। সেখানে এ ধরনের বিদ্রোহের অনুমতি নেই এবং ইলেক্টররা নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে জরিমানা দিয়ে ক্রস ভোটিং করতে পারেন ইলেক্টররা। হিলারির সমর্থকরা এখন সে জরিমানা গুণতেও রাজি। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ