ইসমাঈল হুসাইন ইমু: ‘আপনার পুরস্কারটি শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। সঙ্গে একটি ফ্রি এলইডি টিভি রয়েছে। টিভিটিসহ পুরস্কারের অঙ্ক খালাস করতে টাকা প্রয়োজন। টাকা বিকাশ করলেই আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে পুরস্কার’। এই ক্ষুদেবার্তাটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন লোকের মুঠোফোনে পাঠিয়ে প্রতারণা করতো একটি চক্র। র্যাবের হাতে এ চক্রের চার সদস্য ধরা পড়েছে। এরা সকলেই নাইজেরিয়ান নাগরিক।
গতকাল সোমবার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাইজেরিয়ান ইব্রাহীম (২৯), কেলেছি প্রিন্স জন (৪০), স্যামুয়েল আজুবিউকে (৩৫) এবং ডেনিস অকুদিরি ওরফে চিফ (৪০)। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল, ২৪টি দেশি-বিদেশি সিম, ৩টি ল্যাপটপ, ৫টি মডেম, ৫টি ক্রেডিট কার্ড, ১টি ডেবিট কার্ড, বাংলাদেশি সত্তর হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, এরা উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের একটি হোটেল থেকে র্যান্ডমলি নম্বরে কোটি টাকার লটারি জেতার ভুয়া ক্ষুদেবার্তা পাঠাতেন। যারা লটারির পুরস্কার পাওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে এসএমএস-মেইলে নিজেদের তথ্য পাঠাতো তাদের সঙ্গে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা হত। এ ধরনের ফোন দিয়ে একজনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নেয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
র্যাব গোপন সংবাদ পায় যে, ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ধরা পড়েন ইব্রাহীম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি