জিএসপি সুবিধা পাওয়ার আলোচনা জানুয়ারিতে : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
শারমিন আজাদ: নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে এখনই জিএসপি ও শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করা উচিৎ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে ডিসেম্বরের আগে কোনো আলোচনা শুরুর তাগিদ নেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
ওবামা সরকারের সময় মার্কিন বাজারে রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা হারায় বাংলাদেশ । নতুন মার্কিন সরকার আসার পর এ সুবিধা ফিরে পেতে আলোচনার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়ার সাথে সাথে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধারও দাবি তাদের। এলডিসিভুক্ত দেশ হওয়ায় ডাব্লিউটিওর আওতায় ডিউটি ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাওয়ার জন্যও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি। জিএসপির আওতায় ৩০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি সুবিধা পায় সিরামিক, প্লাস্টিক ও টোব্যাকোর মত পণ্য। বিজিএমইএ’র সভাপতি মনে করছেন এই সুবিধার চেয়ে তৈরি পোশাক খাতের শুল্ক মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া অনেক জরুরি। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে বাতিল হয়েছিলো জিএসপি সুবিধা। এখন গার্মেন্টস কারখানাগুলো অনেক বেশি নিরাপদ বলে দাবি করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি। তিনি মনে করেন গার্মেন্টস কারখানাগুলো এখন অনেক বেশি নিরাপদ, এই তথ্যের উপর জোর দিয়ে জিএসপি ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা আদায়ে কাজ করতে হবে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। ২০০৫ সালে হংকং-এ অনুষ্ঠিত ডাব্লিউটিও’র পঞ্চম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ৯৭ ভাগ শুল্ক সুবিধা ভোগ করে মার্কিন রপ্তানিতে। কিন্তু এর মধ্যে বাদ পড়েছে বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য অ্যাপারেল খাত। আর তাই তৈরি পোশাক শিল্পে এ সুবিধা আদায়ের জোর দাবি তুলতে হবে সরকারকে, মনে করছেন রপ্তানিকারকরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউট্ওি সেলের মহাপরিচালক শুভাশীষ বসু এ বিষয়ে বলেছেন, নতুন মার্কিন সরকার এসেছে। সেখানে জিএসপি সুবিধাসহ আরও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনার এজেন্ডা তৈরি হবে জানুয়ারিতে। জিএসপি ছাড়াও বড় মার্কিন বিনিয়োগ আহ্বানের ইস্যুও যোগ করা হতে পারে এ এজেন্ডায়। এজেন্ডা তৈরি হয়ে গেলে সুবিধাজনক সময়ে বৈঠকের মাধ্যমে অথবা এম্বেসীর মাধ্যমে এসব ইস্যু মার্কিন সরকারের কাছে তুলে ধরবে বাংলাদেশ। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু