শীর্ষে সাকিবের ঢাকা, তামিমের চট্টগ্রাম হারলো বরিশালের কাছে
এল আর বাদল: সতীর্থদের ব্যর্থতায় আরও একবার পরাজয় দেখতে হলো মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে এবারের পরাজয়টি ৩৩ রানের। নিজেদের চার ম্যাচের চারটিতেই হারলো গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। হারলো গত সব আসরে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পাওয়া মাশরাফি। এদিকে, তামিমের চট্টগ্রামও হারলো বরিশালের কাছে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা দলপতি মাশরাফি। ঢাকা ডায়নামাইটস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৪ রান। এটিই ছিল এবারের আসরের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। কুমিল্লার ইনিংস থামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে।
গতকাল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস। তারা জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংস।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্যে খেলতে নেমে এদিন বরিশালের শুরুটা ভালো না হলেও ওপেনিংয়ে নামা ডয়েড মিলানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অনডাউনে নামা শাহরিয়ার নাফিস। এ দুজনই মূলত বরিশালকে টেনে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। মিলান শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থাকলেও ব্যাক্তিগত ৬৫ রান করে আউট হয়ে যান শাহরিয়ার নাফিস। ইমরান খানের বলে নাফিস বোল্ড হওয়ার পর থিসারা পেরেরাকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন ইমরান। এরপরই বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নামেন অধিনায়ক মুশফিক। ১০ রান করে দলের জয় নিশ্চিতের পাশাপাশি এদিন বিপিএলে ব্যক্তিগত ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
চট্টগ্রামের পক্ষে ইমরান খান নেমে দুই উইকেট আর একটি উইকেট নেন শুভাশিষ রায়।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল অধিনায়ক মুশফিক। ফলে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তোলে তামিম ইকবালের চট্টগ্রাম।
দলের পক্ষে অধিনায়ক তামিম ইকবালই করেছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের স্কোর। ৫১ বল খেলে তিনি করেছেন ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। যেখানে রয়েছে ১০ চার ও ২টি ছক্কার মার। এছাড়া জাহারুল ইসলাম করেছেন ৩৪ বলে ৩৬ রান ও এনামুল হক করেছেন ২৭ রান। সম্পাদনা : সম্পাদনা: সুমন ইসলাম