নবিউল ইসলাম বাপ্পি: চীনের কৌশলগত চুক্তির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। আগামী ৩০ নভেম্বর দুই দিনের সফরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসবেন বলে মঙ্গলবার দেশটির সরকারি সূত্রে জানানো হয়। তার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নয়নের সম্ভাবনা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে বলে বলা হচ্ছে।
এর আগে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে চীনের ২৫ বিলিয়ন ডলারের ২৭টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চীনের এ কৌশলগত চুিক্তর প্রেক্ষাপটেই তার এই সফর।
ভারত অবশ্যই চীনের অর্থনৈতিক শক্তির সাথে অথবা তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না বলে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।।
এদিকে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, সিসিলি ও মরিশাস থেকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও নেপাল পর্যন্ত চীনের হানা দেয়ার বিষয়টি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। শ্রীলংকায় বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক, রাডার এবং আত্মসংরক্ষিত যানবাহন সরবরাহ থেকে দূরে রাখতে ভারত এখন দ্বীপরাষ্ট্রটির জন্য দুইটি নৌ উপকূল পেট্রলজাহাজ (ওপিভিএস) নির্মাণ করছে।
অন্যদিকে, ভারত ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি আলোচনা করছে। ভারত শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ মুষ্টিমেয় দেশগুলোর সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনা করছে। এ আলোচনা গুরুত্ব বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
ভারতের সরকারি সূত্র থেকে আরও জানা যায়, পারিকর এ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি কর্মকাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা করবেন। এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় সামরিক সহযোগিতা বাড়ানো, প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ এবং যৌথ মহড়ার মতো বিষয়গুলো থাকবে। তাছাড়া, বহু বছরের মধ্যে পারিকরই একমাত্র ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী যিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এটাও বলা হচ্ছে যে, আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সঙ্গে পারিকরের এই সফরের সম্পর্ক রয়েছে। তথ্যসূত্র: দ্য টাইম্স অব ইন্ডিয়া