আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানিতে ১৪০ জনেরও বেশি ব্যাক্তিকে নিজেদের ‘সহিংস’ আদর্শ দ্বারা অণুপ্রানিত করে আইএস যোদ্ধায় পরিণত করার দায়ে নিষিদ্ধ একটি চরমপন্থী গ্রুপের সদস্যরা যুক্তরাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছে। ব্রিটেনের বড় বড় শহরে অনুসারী সংগ্রহে কাজ করছে এ গ্রুপটির সদস্যরা। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। খবরে বলা হয়, এ সপ্তাহেই দাই ওয়াহরে রিলিজিয়ন (ডিডব্লিউআর) নামে ওই সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত মসজিদ, অফিস ও বাড়িঘরে প্রায় ২০০টি অভিযান চালায় জার্মান পুলিশ। ইংরেজিতে সংগঠনটির নাম ‘ট্রু রিলিজিয়ন’ বা সত্যিকার ধর্ম। কিন্তু ব্রিটেনে এ গ্রপটির কর্মকান্ড রুখার ক্ষমতা নেই নিরাপত্তা বাহিনীর। বুধবার ডিডব্লিউআর’কে মঙ্গলবার নিষিদ্ধ করে জার্মান সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এ গ্রুপের সদস্যরা দেশে বিদ্বেষ ও সংবিধান-বিরোধী বার্তা ছড়াচ্ছে। কুরআন বিতরণ কর্মসূচির আড়ালে তারা তরুণদের ষড়যন্ত্র তত্ব দিয়ে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড. থমাস দ্য মাইজিয়েরে আরও বলেন, ‘ডিডব্লিউআর-এর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর, এখন পর্যন্ত ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে লড়াই করতে সিরিয়া ও ইরাকে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘জার্মানি গণতন্ত্র সুরক্ষায় প্রস্তুত। ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আমাদের মৌলিক মূল্যবোধের প্রতি পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অনুমোদন করে না।’জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ গ্রুপটি মূলত তরুণদের আকৃষ্ট করছে। এদের মধ্যে ‘জঙ্গি ও আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি’ গড়ে দিচ্ছে। জিহাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে, গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করতে বলা হচ্ছে।
ডিডব্লিউআর ও এর সকল কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করেছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ‘লাইজ!’ ও ‘রিড!’ কুরআন বিতরণ কর্মসূচিও রয়েছে। এ কর্মসূচি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ¯েপন ও ব্রাজিলেও সক্রিয়। এসব দেশে গ্রুপটির সদস্যরা ব্যস্ত শপিং এরিয়াতে পসরা সাজিয়ে বসেছে। এখানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ভাষায় কট্টর ভাবানুবাদ করা পবিত্র কুরআন। লিচেস্টার, নটিংহ্যাম, ব্ল্যাকবার্ন সহ লন্ডনের ব্যস্ত অক্সফোর্ড স্ট্রিটেও এ গ্রুপের সদস্যদের দেখা গেছে। ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত জার্মানিতেই এ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ যুক্তরাজ্যে সংগঠনটি বিনা বাধায় কাজ করে যেতে পারবে, যদি না বৃটিশ সরকার একে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় যুক্ত করে।সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ