ফেসবুকের দেয়ালজুড়ে…
বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর ভয়াবহ জাতিগত নিপীড়ন চলছে
ডা. ইমরান এইচ সরকার, মুখপাত্র, গণজাগরণ মঞ্চ
বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর ভয়াবহ জাতিগত নিপীড়ন চলছে। রোহিঙ্গাদের পুরোপুরি নির্মূল করতে বার্মিজ সরকার দীর্ঘদিন থেকেই সেখানে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে আসছে। এই জঘন্য হত্যাকা- ও জাতিগত নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করা এবং বার্মিজ সরকারের এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সারাবিশ্বের কাছে উন্মোচন করা।
এবার আপনার অন্তরটা শান্তি হইছে তো?
শেরিফ আল সায়ার, সাংবাদিক
শামীম ওসমান সেদিন আইভীকে খোঁচা মেরেছিলেন। আমার আজ তার অনুভূতি বড় জানতে ইচ্ছে করছে। বলতে ইচ্ছে করছে, আপনার ছোটবোন আইভী কিন্তু নৌকার টিকিটটা পাইয়া গেল। এবার আপনার অন্তরটা শান্তি হইছে তো?
রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিন…
ড. কনক সরওয়ার, সাংবাদিক
আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং করদাতা হিসেবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণকে বাংলাদেশে সহজে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিন…। বিদ্রোহ দমনের নামে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী যেভাবে মানুষ হত্যা করছে তা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর। ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ বা ‘অহিংসা পরম ধর্মে’র শপথ নিয়ে বৌদ্ধ প্রধান এই অঞ্চলে চলছে মানুষ হত্যার উৎসবÑ নির্বিচারে!
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য বাংলাদেশ যেন নিরাপদ আশ্রয়ে ব্যবস্থা করে সে সম্পর্কে বলেছে সংস্থাটি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটা মানবতার দাবি। আশা করি, আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেবে…
তাদের উচিত এবার অগ্রিম ভোটিং চালু করা
আনিস আলমগীর, হেড অব নিউজ, এশিয়ান টিভি
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি সম্ভবত দেশে প্রথম বা দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান যারা ইলেকট্রনিক ভোটিং চালু করেছে। তাদের উচিত এবার অগ্রিম ভোটিং চালু করা। মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে যাতে ভোট দেওয়া শুরু করা যায়। ভোটের দিন ঢাকার বাইরে থাকতে হয় বলে অনেকবার আমার ভোট মাঠে মারা গেছে। এবারও যাবে নিশ্চিত। আর দুঃখজনক হচ্ছে, প্রায়ই বছর দেখা যায় বছরে মাত্র ভোটের দিনই ডিআরইউতে যাই।
প্রসঙ্গ : সাংস্কৃতিক দারিদ্র্যদূরীকরণ
মাসকাওয়াত আহসান, সাংবাদিক
কলকাতায় যে বাঙালি রেনেসাঁ ঘটেছিল; তা ছিল ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের ওপরে মানুষ আত্মপরিচয়কে মেলে ধরার প্রয়াসে। ব্রাহ্ম সমাজ শিল্প-সাহিত্য চর্চার মাঝ দিয়ে একটি উদার সাংস্কৃতিক ঐক্য রচনার চেষ্টা করেছিল। এই উদারপন্থার রেলগাড়িতে চড়ে অবিভক্ত বাংলার যেসব তরুণ-তরুণী সঙ্গীত ও বেতার নাটক শুনতে, খবরের কাগজ পড়তে বা ফিল্ম দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল; তারাই আবদ্ধ চিন্তার পাতকুয়া থেকে মুক্তচিন্তার সমুদ্রে অবগাহন করতে পেরেছিল। এরাই বাঙালি রেনেসাঁর চিহ্ন। এদের সংখ্যা ছিল কম। ফলে তাদের উত্তর-পুরুষের সংখ্যা কম। যে কারণে কলকাতার বাঙালি রেনেসাঁর অভিঘাত সমাজে দৃশ্যমান নয়। সমানুপাতিক সাংস্কৃতিক প্রগমন না ঘটায় সাংস্কৃতিক দারিদ্র্য সীমাহীন। আমরা প্রচলিত অর্থে দারিদ্র্য দূরীকরণ বলতে সম্পদের সুষমবন্টন বুঝি। কিন্তু মানবসম্পদ তৈরিতে সাংস্কৃতিক সুষমবন্টন অত্যন্ত জরুরি।
জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার গোড়ার চিন্তা ছিল, জীনগতভাবে তিন প্রজন্মের মুক্তচিন্তার মানুষ তৈরি করা। শিক্ষাব্যবস্থার মাঝ দিয়ে জাপানে একটি সাংস্কৃতিক রেনেসাঁ ঘটে গেছে সামষ্টিকভাবে। জার্মানি ও কানাডার শিক্ষাব্যবস্থাতেও জীনগত উতকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল জাতি গঠনের প্রয়াস রয়েছে। কিন্তু বাঙালি সমাজে রেনেসাঁর চেষ্টাটি শিক্ষাব্যবস্থাকেন্দ্রিক না হওয়ায়; ছোট ছোট সাংস্কৃতিক সংগঠনকেন্দ্রিক হওয়ায়; মুক্তচিন্তার খ-িত বিকাশ ঘটেছে। বেশির ভাগ মানুষই রয়ে গেছে চিন্তার আদিম স্তরে। যে কারণে বাঙালি সমাজে পিছিয়ে পড়া মনোভঙ্গির দাপট তৈরি হয়েছে বাঙালি রেনেসাঁর আলোকে ম্লান করে দিয়ে। সে কারণে অতীতের চেয়ে বর্তমান পিছিয়ে পড়েছে চিন্তায় ও মননে। তাই এই মুহূর্তে সমস্ত মনোযোগ নিবদ্ধ করা প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থার দিকে। নইলে ধনাঢ্য অথচ সাংস্কৃতিক দৈন্যে লীন অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে এ সমাজের নিমজ্জন অবশ্যম্ভাবী।