খুশী কবির
সাঁওতালদের উপর যে তা তাদের সম্পত্তি দখল করার জন্য। এবং একই সঙ্গে এটা দুর্বলের উপর সবলের হামলা। পুরোপুরিভাবে তাদের সবকিছু দখল করার একটা কৌশল। যেহেতু নাসিরনগরেও হিন্দু সম্প্রদায় দুর্বল এবং যাদের উপরে হামলা করা হয়েছে তারা অধিকাংশ মৎস্যজীবী। ওরাও অর্থনৈতিকভাবে অনেক দুর্বল। ওদের ঘরবাড়ি, মন্দিরে আক্রমণ করা, ওদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে যাতে তারা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ঠিক একইভাবে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের উপরও হামলার করা হয়েছে।
সাঁওতালরা যেহেতু সংখ্যালঘু, সবদিক থেকে তারা দুর্বল! তাদেরকে উচ্ছেদ করে, তাদের জায়গাটা দখল করে নেওয়া, যাতে তারা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ভোগে। একইভাবে সমস্ত সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা শুধু যারা জাতিগত, ধর্মগতভাবে দুর্বলরাই আক্রান্ত হচ্ছে বিষয়টি তা নয়, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলে সে যদি মুসলমানও হয় তবু তার উপর আক্রমণ হয়। এটাই হচ্ছে সবলের দুর্বলকে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া।
পরিচিতি: মানবাধিকার কর্মী/মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান