খুরশীদ আলম
এই ধরনের প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ ধরনের গৃহীত চলমান কার্যক্রমই হচ্ছে প্রকল্পের টেকসই অবস্থা। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেওয়া ‘সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের পর ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গঠনের পদক্ষেপ হচ্ছেÑ সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচির টেকসই অবস্থান। যা আজও চলমান আছে। এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাচ্ছি, ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরুর পর এর সফলতা লক্ষ্য করে পল্লী উন্নয়ন কর্মকা-কে আরও গতিশীল করার জন্য ১৯৭৩ সালেই আইআরডিপিকে ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে সরকারের একটি উন্নয়ন সংস্থায় রূপান্তর করা হয়। কিন্তু কুমিল্লা মডেলের এত প্রাথমিক পর্যায়ে এবং আরও অধিকতর চরষড়ঃরহম না করে কর্মসূচিটিকে সংস্থায় রূপান্তর করা সমীচীন হবে না মর্মে দাতাদের পরামর্শের ভিত্তিতে ১০ মাস পর ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’র বিলুপ্তি ঘটিয়ে পুনরায় ‘আইআরডিপি’ পুনর্বহাল করা হয়। এরপর আরও দীর্ঘসময় বাস্তবায়নের পর ১৯৮০ সালে তৎকালীন আইআরডিপিকর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের উপর বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে একটি সমীক্ষা পরিচালিত হয়। সমীক্ষায় বেরিয়ে আসে যে, সরকারি পর্যায়ে গৃহীত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প/কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দ্বি-স্তর সমবায় ব্যবস্থাটি গ্রামীণ জনগণের জন্য হিতকর কর্মসূচি এবং ক্ষমতাশালী কৌশল হিসেবে কাজ করেছে যা পল্লী উন্নয়নের একমাত্র পেটেন্ট হিসেবে দাবি করতে পারে। বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে তৎকালীন ‘আইআরডিপি’ তার প্রকল্প বাস্তবায়ন কৌশল ৎবফবংরমহ করে দারিদ্র্যবিমোচনমূলক প্রকল্পসমূহ গ্রহণ করতে থাকে।
লেখক: কৃষিবিদ, প্রাক্তন যুগ্ম-পরিচালক, বিআরডিবি
সম্পাদনা: আশিক রহমান