আশীফ এন্তাজ রবি
বাংলাদেশ এবার নোবেল পুরস্কার জিতবেই জিতবে। এটাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ। মিয়ানমারে যে কা- চলছে, সেটা কোনো সভ্য দুনিয়ার দৃশ্য নয়। এই একবিংশ শতাব্দীতে, এত সজাগ মিডিয়া আর সোস্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষের উপর এমন বর্বরতা বিশ্বাস করা যায় না। রোহিঙ্গাদের উপর যা চলছে, মধ্যযুগের বর্বরতাও তার কাছে কিছুই না।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিক। পুরো বিশ্ব দেখুক, বাংলাদেশ তার সীমিত সম্পদের মধ্যে থেকেও অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। পুরো বিশ্ব দেখুক, জনসংখ্যার ভারে অসহায় বাংলাদেশ হাসিমুখে আরও কিছু বাড়তি মানুষদের আশ্রয় দিতে পিছ পা হয়নি। পুরো বিশ্ব দেখুক, বাংলাদেশ কীভাবে অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব দেখুক, শান্তির নোবেল প্রাইজ ভ্যানিটি ব্যাগে নিয়েও আনসাং সুচি যে দায়িত্ব নিতে পারেননি, বাংলাদেশ সেটা নিয়েছে। এই ধরাধামের শান্তির সেরা পুরস্কার জয়ী মানুষটির অবহেলায় হাজার হাজার মানুষ ভুগছে, বাংলাদেশ সেখানে তার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে সেই কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছে, ওই আজাইরা নোবেল প্রাইজের ধার সে ধারে না।
বিশ্ব অন্ধ নয়। বিশ্ব বধির নয়। কাজেই বিশ্ব বাংলাদেশকে ‘নোবেল দেশ’ বলবে। এরপর আমরা নোবেল পুরস্কার দেব অন্যদের। আসুন, এই সুযোগটা নিই। আসুন মানুষের পাশে দাঁড়াই। রোহিঙ্গা হোক, সাঁওতাল হোক, হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, বাংলাদেশ যেন হয় সব ধর্ম আর মতের আশ্রয়স্থল। সব বিতর্ক দূরে ঠেলে আপাতত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিন। তর্ক করার সময় পাবেন। যত খুশি তর্ক করুন, আমাকে গালি দিন। কিন্তু সবকিছুর আগে সীমান্ত খুলে দিন। এক মিনিট দেরি হলে, আরও অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। প্লিজ, সীমান্ত খুলে দিন।
লেখক: সাংবাদিক ও সঞ্চালক/ফেসবুক থেকে