চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম
সোহেল রানা, মৌলভীবাজার : সম্প্রতি ভারত সরকার ভারতীয় ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার কাগুজে নোট বাতিল করায় সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সাথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমেও। মুদ্রা বাতিলে ভারতে বাংলাদেশি টাকার ও ই্উএসএ ডলারের মানও কমে যাওয়া ভারতের উত্তর ত্রিপুরা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চাহিদাকৃত বাংলাদেশী পণ্য নিতে এলসি করতে পারছেন না। এলসি করতে না পারায় কুলাউড়া চাতলাপুর স্থল শুল্ক ষ্টেশনের বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের মাধ্যমে টিটি ও এলসি করতে পারছেন না বলে এ শুল্ক স্টেশনে গত ১২ দিন ধরে আমদানী রফতানী কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এখানে নেই কোন পণ্যবাহী পরিবহনের লাইন। শুল্ক স্টেশনের শ্রমিকরা অলস বসে সময় পার করছেন। দুই সপ্তাহ আগেও এখানে প্রাণ আরএফ এল সামগ্রী, বাংলাদেশী বিভিন্ন কোম্পানীর সিমেন্টবাহী ট্রাক, মাছবাহী কার্গোসহ বাংলাদেশী পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকতো। এখন চার দিনে একবার সামান্য পণ্য যাচ্ছে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাসহরে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের ভারতীয় অংশে অবস্থানরত ভারতীয় আমদানি রফতানিকারক আব্দুল মুহিত মিটন, গৌরা অধিকারী, ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভারতীয় মুদ্রা বাতিলে ব্যাংক থেকে কোন টাকা উত্তোলন করতে পারছে না বলে এলসি ও টিটিও করতে পারছেন না। ব্যাংকে এক লাখ টাকার চাহিদা দিলে ব্যাংক মাত্র দুই হাজার টাকা দিতে চায়। ফলে এলসির মাধ্যমে বাংলাদেশে কোন পণ্যের চাহিদাও দিতে পারছেন না। সম্পাদনা : তারেক