বকশীগঞ্জে বন্যহাতির তা-ব, আতঙ্কে ১০ গ্রামের মানুষ
শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের গারো পাহাড়ে বিভিন্ন গ্রামে গত তিনদিন যাবত তা-ব চালাচ্ছে ভারতীয় বন্যহাতির পাল। বসতবাড়ি তছনছ, গাছপালা বিনষ্ট ও পাকা ধান ক্ষেতসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে চলেছে হাতির দলটি। এতে হাতি আতঙ্কে রয়েছে সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ।
জানাগেছে, গত তিনদিন আগে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া পেড়িয়ে প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি বন্যহাতি উপজেলার সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নে গারো পাহাড়ে গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করে। দিনের বেলায় হাতির পাল পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে উচু টিলায় থাকে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে দলবেধে বন্যহাতির পাল নেমে আসে গ্রামের লোকালয়ে। রাতভর চালায় তান্ডবলীলা। এ সময় গাছপালা, সবজি ক্ষেত, পাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলে। তাড়াতে গেলেই তেড়ে এসে হামলা চালায়।
এতে হাতির ভয়ে গ্রামবাসী কাঁচা আর আধাপাকা ধান কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে এই এলাকার মানুষের দিন কাটছে শঙ্কায়, রাত কাটছে নির্ঘুম।
পাহাড় থেকে নেমে আসছে প্রায় ৮০টির মত একদল হাতি। গ্রামবাসী মশাল ও আগুন জ্বালিয়ে হই হৈল্লা করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছে।
কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল জানান, গত তিনদিন ধরে ভারত থেকে ৮০-৯০টি বন্যহাতি বাংলাদেশে অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে রাতে সীমান্তÍবর্তী যদুরচর ও সাতানিপাড়া গ্রামে হাতির পাল ঢুকে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমির পাকা ধান খেয়ে মুড়িয়ে বিনষ্ট করেছে। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে গ্রামবাসী ও হাতির মধ্যে রাতভর ধাওয়া পাল্ট-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাতির তাড়াতে গ্রামবাসী নির্ঘুম রাত পার করছেন। তারা আগুনের কুন্ডলী, পটকা ফাটিয়ে এবং বিভিন্ন বাজনা বাজিয়ে বন্যহাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। শত চেষ্টা করেও থামানো যাচ্ছে না হাতির আক্রমণ থেকে।
বকশীগঞ্জ ইউএনও আবু হাসান সিদ্দিক জানান, হাতি তাড়াতে বিভিন্ন অবলম্বন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : তারেক