আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিসের চিওস দ্বীপের শরণার্থীদের তাঁবু লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা, আতশবাজি ও পাথর ছুড়েছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে প্রায় ১৫০ লোক পালিয়েছে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোউদা নামের এই ক্যাম্পে এই নিয়ে দ্বিতীয় রাতের মতো সহিংস ঘটনা ঘটল। চিওসে প্রায় ৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থী রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, হামলায় বেশ কয়েকটি তাঁবুর ক্ষতি হয়েছে। এগুলোতে প্রায় ৫০ শরণার্থী বাস করছে।
ইউএনএইচসিআর এর গ্রিস শাখার মুখপাত্র রোনাল্ড স্কোয়েনবাউয়ার বলেন, শুক্রবার সোউদা শরণার্থী শিবিরের দেয়ালের ওপারে কে বা কারা পাথর ছুড়ে মারে। পাথরটি এক সিরীয় শরণার্থীর মাথায় আঘাত করে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি ককটেল ছোঁড়া হয়। এতে বেশ কয়েকটি তাঁবু ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার পরিচালিত শরণার্থী শিবিরটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে।
বুধবার আতশবাজি ছোঁড়ার পর চার শরণার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত চারজনই পুরুষ। এদের মধ্যে তিনজন আলজেরিয়ান ও একজন ইরানি। একটি দোকান থেকে আতশবাজিগুলো চুরি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সোউদা শিবিরে আশ্রয় নেয়া অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ সিরীয়, ২০ শতাংশ ইরাকী, ১০ শতাংশ উত্তর আফ্রিকান ও ১০ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ১৬ হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী রয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ