রোগী আছে, ডাক্তার নেই
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : আছে হাসপাতাল, ওয়ার্ড, বেড, অপারেশন থিয়েটার, অপারেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, র্নাস সবই কিন্তু নেই রোগী। কক্সবাজারে ২০ শয্যার হাসপাতাল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিত্র এটি। সরেজমিনে পরির্দশন করে দেখা যায় ওয়াড বেড সব থাকার পরও রোগী নেই। প্রতিটি বেডই শূন্য পড়ে রয়েছে। এর কারণ খুঁজে দেখা গেছে দু’ টি ডাক্তারের পোস্ট থাকলেও নেই একজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চার বছর আগে এ হাসপাতালের অজ্ঞানকারী ডাক্তার মামুল কাপ্রি ধর প্যারালাইসিসে আক্রাপ্র হলে এর পর থেকে আর কোন অজ্ঞান কারি ডাক্তার এ হাসপাতালে দেয়া হয়নি। ফলে চার বছর ধরে সিজার বন্ধ রয়েছে এ হাসপাতালে। দু’ মাস আগেই এ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার প্রসুতি, স্ত্রী রোগ বিষেশজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার মো. আলমগীর হোসেন সরকার বদলি হয়ে গেলে শূন্য হয়ে যায় পদটিও। ফলে শূন্য হয়ে যায় দু’টি পদই। বর্তমানে জেলা পরিবার পরিকল্পনার সহকারি পরিচালক ডাক্তার পিন্টু কাপ্রি ভাট্টর্চায অতিরিক্ত মেডিকেল অফিসার ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ কেন্দ্রের এফ.ডাব্লিউ.ডি ডিজু পাল বলেন, আগে প্রচুর রোগী আসত। এখনো বহির্বিভাগে কিছু রোগী আসে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সিজার বন্ধ থাকাতে ও ডাক্তার না থাকাতে রোগীরা আসতে চায় না। যারা প্রথমবার আসে যখন শোনে এখানে সিজার বন্ধ তারা ২য় বার আর আসে না।
পরিকল্পনার সহকারী পরিচালক ডাক্তার পিন্টু কাপ্রি ভাট্টর্চায বলেন, অধিকাংশ সময়ই আমাকে পরিবার পরিকল্পনার কাজে ফিল্ডে যেতে হয়। যখন মাঠে যায়না তখন সকালে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রোগী দেখি। বিকেলে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অফিসিয়ালি কাজ করতে হয়। রাতেও আমাকে কাজ করতে হয়। মোট কথা আমাকে একাই দু’জনের কাজ করতে হচ্ছে। সেখানে ঘাটতি তো রয়েই যাবে। সম্পাদনা : তারেক