ইনাম আহমেদ চৌধুরী
রোহিঙ্গাদের প্রচ- বিপদের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের এই বিষয়টি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা এবং তাদের জন্য যাতে যথাযথ রিলিফের ব্যবস্থা করা। এই মানবিক দায়িতটি পালন করা। যদিও জাতিসংঘ এবং কোনো কোনো সংস্থা আহ্বান জানিয়েছেÑ বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দিতে, তাদের আশ্রয় দিতে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। সম্ভব নয় এই জন্য যে, বর্ডার খুলে দিলে মায়ানমার আরও বেশি রোহিঙ্গা পাঠাতে থাকবে, তাদের জন্য আমাদের তো স্থান সংকুলান দুষ্কর ব্যাপার হবে। সুতরাং সমস্যার বিস্তারিত জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে। যারা রোহিঙ্গাদের এই সংকট সমাধান করতে পারবে বলে মনে হয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। আমার কাছে মনে হয়, ওআইসিতেও এ বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষে তুলে ধরার চেষ্টা করা উচিত।
বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে যে, আমরা ইতোমধ্যেই ভারাক্রান্ত হয়ে আছি এবং এ ধরনের মানবিক বিপর্যয় মায়ানমার সৃষ্টি করছে। এটা অহেতুক, অন্যায় করা হচ্ছে। এটাই তুলে ধরতে হবে।
জাতিসংঘ তো আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের তো সামর্থ্য কম, স্থান এবং অর্থনৈতিক সামর্থ্য দেখতে হবে। এমনিতেই তো হাজারও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। আবার যখনই তাদের আশ্রয় দিব তখনই বন্যার ¯্রােতের মতো মানুষ ঢুকবে। সুতরাং মায়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন না করে, আমাদের এখানে না পাঠায় তা বিশ্বকে অবহিত করতে হবে।
আমাদের ফরেন পলিসির জন্য এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করার কারণ হচ্ছে, ওখানে মনে করা হয়, এরা মুসলমান, এরা প্রকৃত বার্মিজ নয়। রোহিঙ্গাদের নিপীড়িত, নিষ্ঠুরতা বিষয়টি ওআইসি ও আইডিবি এর কাছে তুলে ধরতে হবে। বিশ্ব যাতে মায়ানমারের এমন অবস্থান পরিবর্তন করে সেই ব্যবস্থ্যা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সহানুভূতি সবসময় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি থাকবে।
পরিচিতি: ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান