হাতিয়ায় ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণে অনিয়ম
অহিদ উদ্দিন মুকুল, নোয়াখালী : হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির খাদ্যাভাব দূরীকরণের ল্েয সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণে অবিশ্বাস্য রকমের অনিয়ম আর দুর্নীতি করছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিযুক্ত ডিলাররা। এমন অভিযোগ এখন দ্বীপবাসীর মুখে মুখে। তবে অনিয়মকে নিয়মের চাদরে ডাকার চেষ্টা করছে উপজেলা প্রশাসন।
¯’ানীয়দের অভিযোগ রাজনৈতিক চাপে দুর্নীতিবাজ এমন ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন রকমের শাস্তিমূলক ব্যব¯’া গ্রহণ না করায় আতুর ঘরেই ব্যর্থ হতে চলেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগ। গত ১৫ নভেম্বর সকালে উপজেলার তমরুদ্দি বাজারে নিযুক্ত ডিলার নুরুন নবীর কাছ থেকে হতদরিদ্র কার্ডধারী মানুষগুলো ৩শত টাকায় ৩০ কেজি চাউল কিনে ওজন করলে ৪ কেজি করে চাউল কম হয়। এ নিয়ে তারা প্রতিবাদ করলে তাদের কার্ড বাতিল করার হুমকি দেয় ঐ ডিলার। এ ব্যাপারে পরের দিন বুধবার সকালে হতদরিদ্র লোকজন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যব¯’া গ্রহণ করার দাবি জানান।
তমরুদ্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রায়হান, জিহান, চুট্রু, ১নং ওয়ার্ডের মনাফ, এনায়েত, আনোয়র জানান, আমরা প্রতি মাসে চাউল কিনলে ডিলার আমাদেরকে প্রতি মাসে চার কেজি করে চাউল কম দেন। তমরুদ্দি ইউপি সদস্য জাহেদ হোসেন ও বদি আলামের সাথে কথা বললে তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণে অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে জানান সরকারের দেওয়া ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করছেন ডিলার। এ ব্যপারে তমরুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফররুখ আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়ে ডিলার নুরুন নবীকে সতর্ক করে দিয়েছি। যদি ভবিষ্যতে আর এ ধরনের অনিয়ম করে তাহলে তার ডিলার কার্ড বাতিলের সুপারিশ করা হবে। অভিযুক্ত ডিলার নুরনবীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি চাউল বিতরণের সময় ছিলাম না। আমার কর্মচারীরা চাউল বিতরণ করেছে। সম্পাদনা: তারেক