ঢাকাকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরল রাজশাহী কিংস
এল আর বাদল: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সময়টা একদম ভালো কাটছিলো না রাজশাহী কিংসের। গত পাঁচ ম্যাচে একমাত্র জয় নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছিল দলটি। প্রতিটি ম্যাচেই তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। এবার তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি শক্তিশালী সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। গতকাল উত্তেজনাকর ম্যাচে ঢাকাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় নিয়ে বিপিএলে লড়াই ফিরল সাব্বির-সামির রাজশাহী কিংস। সেই সঙ্গে সুপার ফোরের আশা টিকিয়ে রাখল দলটি।
গতকাল টসে জিতে ঢাকা ডায়নামাইটস প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ১৮২ রান করে ঢাকা। জবাবে এক বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় রাজশাহী। ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১২ রানে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে হারায় রাজশাহী। এরপর দলীয় ৩১ রানে দলকে একা রেখে বিদায় নেন হার্ডহিটার সাব্বির রহমানও। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০০ রানের জুটি বেঁধে দারুণ প্রতিরোধ গড়েন মমিনুল ও সামিত প্যাটেল। দলীয় ১৩১ রানে শহীদের বলে ফিরে যান মমিনুল। ৪২ বলে ৮ চার ও এক ছয়ে ৫৬ রান করেন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। এটি এবারের আসরে মমিনুলের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ১৬তম ওভারে আউট হন সামিত প্যাটেল। ৩৯ বলে ছয়টি বিশাল ছয়ে ৭৫ রান করেন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার।
দলীয় ১৬০ রানে উমর আকমল ফিরে গেলে তীরে এসে তরি ডোবার শঙ্কায় পড়েন রাজশাহীর সমর্থকরা। ১৯তম ওভারে ড্যারেন সামি আউট হলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রানের প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর। কোলসের প্রথম বলে ব্রাভোকে ক্যাচ দেন আবুল হাসান রাজু। দ্বিতীয় বলে এক রান নেন মিরাজ। তৃতীয় বলে চার মেরে জয়টাকে নিঃশ্বাস দূরত্বে নিয়ে আসেন ফরহাদ রেজা। চতুর্থ বলে এক রান নেন রেজা। পঞ্চম বলে চার মেরে সব উত্তেজনায় জল ঢেলে দেন মিরাজ।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮২ রান তুলে ঢাকা ডায়নামাইটস। দারুণ শুরু করে ঢাকা। মেহেদী মারুফ ও কুমার সাঙ্গাকারার উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৭১ রান। ২৫ বলে ৩৫ করে মারুফ আউট হলেও সাঙ্গাকারা তার দায়িত্ব পালন করে যান। ৩৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর ৪৬ বলে ৬৬ রান করেন ফরহাদ রেজার বলে আবুল হোসেন রাজুকে ক্যাচ দেন সাঙ্গা। ঢাকার সংগ্রহ তখন ১২১ রান। সেই ওভারের তিন বল আগে মোসাদ্দেককে আউট করেন ফরহাদ। তিন উইকেট হারালেও সেকুগে প্রসন্ন খেলেন নিজের মতো করেই। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। প্রসন্ন ১৬ বলে ৩৪ রান করেন, সৈকত ১৩, সাকিব ১৮ ও কোলস ৮ রান করেন। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু