ধান কাটার প্রস্তাব নিয়ে সাঁওতাল পল্লীতে চিনিকল কর্তৃপক্ষ
পত্রিকা ডেস্ক : গাইবান্ধার রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের ফসল তাদের বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশের পর তাদের ধান কেটে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান, রংপুর চিনিকলের এমডি আব্দুল আউয়াল ও ওসি সুব্রত কুমার সরকার মাদারপুর গ্রামে গিয়ে সাঁওতালদের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের রোপণ করা ধান কেটে দেওয়ার জন্য চাষিদের তালিকা চান। তবে সাঁওতাল নেতারা জমির ধান তারা নিজেরাই কাটবেন বলে জানান।
রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের পর গত ১১ নভেম্বর এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়Ñ জমিতে সাঁওতালদের চাষের ধান কাটতে দিতে হবে, নয়ত চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন ধান কেটে সাঁওতালদের বুঝিয়ে দেবে।
উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের ভাষ্য, তারা একশ একর জমিতে ধান এবং প্রায় আটশ একর জমিতে মাসকালাই, সরিষা ও পাটচাষ করেছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হান্নান বলেন, বেলা সোয়া ১২টার দিকে সাহেবগঞ্জ খামারের ধানের জমি পর্যবেক্ষণ শেষে চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশসহ তিনি মাদারপুর চার্চ এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে আদিবাসীদের রোপণ করা আমন ধান কাটার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাঁওতাল নেতা টাটু টুডু এবং বার্নাবাস টুডু জানান, যেহেতু ওই জমিতে তারা সম্মিলিতভাবে ধানচাষ করেছেন। তাই কীভাবে ধান কাটবেন সে সিদ্ধান্ত দু-একদিনের মধ্যে মিল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানাবেন। ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সদস্য ও মাদারপুরের গ্রামপ্রধান বার্নাবাস টুডু বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ ধান কেটে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা জানিয়ে দিয়েছিÑ নিজেরাই ওই জমির ধান কাটব। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী