দারিদ্র-অভাব বঞ্চনায় চর কৃষ্ণপুরের মানুষ
এম.এস.সাগর, কুড়িগ্রাম : কচাকাটা থানার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুরের মানুষের দুর্বিসহ জীবন দৈনন্দিন অর্ধাহার-অনাহার দিন কাটে দারিদ্র-অভাব বঞ্চনায়। চরাঞ্চলের শিশু শিক্ষার আলো, স্বাস্থ্য সেবা ও পুষ্টির থেকে বঞ্চিত। বন্যা, অনাবৃষ্টি এবং দুর্ভিক্ষের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকারগ্রস্ত। প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাধর ও দুধকুমর বেষ্টিত বল্লভেরখাস ইউনিয়নের একটি অংশ। বর্ষাকালীন সময়ে চরাঞ্চলের মানুষের জীবন চিত্র কষ্টকিষ্ট বেদনাবিধুর। যাতায়াত আদিকাল হতে নৌকার উপর ও বালুচর হেটে নির্ভরশীলসহ শিক্ষা, চিকিৎসা নাজুক অবস্থার মাঝে কাটে জীবন প্রণালি। বালুচর আবাদ অনুপোযোগী হওয়ায় সেখানে চোখে পরে তরমুজের ফসল নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আবাদ করার পর বন্যার করাল গ্রাসে প্রতি বছরই তা বিলীন হয়ে যায়। বন্যার সময় বাড়ি-ঘরে থাকে হাটুসম পানি। তখন মাচা কিংবা ভেলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে। অধিকাংশ বসবাসকারী মানুষ কর্মহীন। জীবনের প্রয়োজনে জীবিকার তাগিদে তারা সারা বছর কুমিল্লা, ফেনি, টাঙ্গাইল, বগুড়া, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে শ্রম ফেরী করে। অনেকে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়। সামর্থ না থাকায় অন্য কোথাও ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ী বসবাস সম্ভব না হওয়ায় তারা অতিকষ্টে বসবাস করে। শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি তাদের কাছে স্বপ্নসম। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে পড়া-লেখা হয় না ঠিকমত। কর্মরত শিক্ষকরা প্রায় অনুপস্থিত থাকেন। উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে পড়তে হলে নৌকায় নদী পাড়ি দিয়ে ধুধু বালুচর হেটে যেতে হয় প্রায় ১০ কিঃ মিঃ দূরে কচাকাটা আসতে হয়। চিকিৎসা সেবা পেতে ঝাড়-ফুক, কবিরাজী অথবা হাতুড়ে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে হয়। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা পেতে তাদের নদী পাড় হয়ে পায়ে হেটে প্রায় ৬ কিঃ মিঃ পথ অতিক্রমে করে মাদারগঞ্জ কমিউনিটি কিনিকে যেতে হয়। সম্পাদনা: তারেক