নূর আলম সিদ্দিকী, নীলফামারী : নীলফামারীর অংকুর সিড এন্ড হিমাগারে রাখা আলু না পেয়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করেছে আলু চাষিরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিশমুড়ি গ্রামে অবস্থিত অংকুর সীড অ্যান্ড হিমাগার ঘেরাও করে হিমাগারের সামনে নীলফামারী-জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ প্রধান সড়ক অবরোধ করলে, তিন উপজেলায় সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন পুলিশ সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহর করে বিক্ষুব্ধ আলু চাষিরা। কৃষকরা দাবি করে জানান, হিমাগারে কৃষকদের সংরক্ষিত আলু দেখিয়ে হিমাগার কর্তৃপক্ষ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক নীলফামারী শাখা থেকে ঋণ নেয়। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হিমাগারে তালা দেয়। এর পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ কৃষকদের মাঝে আলু সরবরাহ করার কথা বলে বেশ কয়েক বার সময় বেধে দেন। তাদের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী কয়েকদিন ধরনা দিলেও আলু নাদিয়ে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটোকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। হিমাগার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এমন রশি টানা টানিতে কৃষকরা আলু না পেয়ে বিপুল পরিমানের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের দাবি তারা ওই হিমাগারে বীজ আলু রাখার পর সম্প্রতি তাদের বীজ সংরক্ষণের ভাড়ার টাকাও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু হিমাগার কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন সময় দিচ্ছেন কিন্তু হিমাগারে সংরক্ষিত আলু বীজ কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করছেন না। এবিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক নীলফামারী শাখার ব্যবস্থাপক মাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অংকুর হিমাগারে কৃষকের আলু যেসব চেম্বারে আছে সেখানে তালা দেইনি। অংকুর হিমাগার কর্তৃপক্ষ হিমাগারে ২নং ও ৪নং চেম্বারে সংরক্ষিত ৬৫ হাজার একশত বস্তা আলু বীজের অনুকুলে চলতি বছর আমাদের শাখা থেকে ৭ কোটি টাকা প্লেজ ঋণ গ্রহণ করে। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫২ হাজার ২২৭ বস্তা আলু চেম্বার থেকে বের করেছেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বার বার তাগদা দেওয়ার পরও অবশিষ্ট প্রায় ১৩ হাজার বস্তা আলুর টাকা পরিশোধ না করায় প্লেজ ঋণ নেয়া চেম্বার দু’টিতে তালা দিয়েছি। সম্পাদনা: তারেক