আসিফ আকবর
গার্লস স্কুলে পড়া ছাত্র ছিলাম। তারপর থেকে মেয়েদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে দিলেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা, কারণ শিস দেওয়া কিংবা মেয়েদের পেছনে ঘোরা আমার ছাত্রজীবনের প্রিয় খেলা ছিল, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসলেও আমি কোনো বন্ধুকে দায়ী করব না। এখনো গাড়িতে বসে বউ বাচ্চাদের সামনেই ভিতর থেকে শিস বেজে ওঠে আমার, কারণ হয়তো মেয়েটার ফিগার কিংবা সৌন্দর্য কিংবা পুরনো অভ্যাস। এটাকে কোনোভাবে ইভটিজিংয়ের পর্যায়ে ফেলা যাবে না, আমি অতটা খারাপ না।
শিনা চৌহান অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপিকা, বিপিএলের সুবাদে পরিচয়। চ্যানেল নাইনের কমেন্ট্রি বক্সে প্রথম দেখা আমাদের। শিনার কথাবার্তা শুনে মনে হলো সে আমার সম্বন্ধে ব্যাপক জানে। কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে আমার ভালো লাগে, কিন্তু সে ঠিকমতো বাংলাদেশের বাংলাই বোঝে না, আর আমার কথার গতি ডরঃয ঈড়সরষষধ অপপবহঃ কীভাবে বুঝবে। খাতির জমে গেল, হাসতে হাসতেই বললামÑ শিনা আমি মেয়েদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে পারি না, সুতরাং! অথচ এই শিনাকে নিয়ে আমি অনেক বিটলা মন্তব্য করেছি বন্ধুমহলে। এখন লজ্জা পাচ্ছি, এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
শিনা একটি মহান কাজের সঙ্গে জড়িত। সে মনে করে আমি তারুণ্যের আইকন, সে তারুণ্য নিয়েই কাজ করে। মানবাধিকারের জন্য তারুণ্যÑ এই সেøাগানে সে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সংগঠন চালায়। আমাকে অনুরোধ করল তার সঙ্গে কাজ করতে। সম্মতির জন্য শিনার ছোটাছুটি আমাকে অবাক করেছে। আমি শিনাকে কথা দিয়েছি– ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে, সুতরাং থাকব। কিন্তু ওই যে মন্তব্যগুলো করলাম, এখন তো আবারো লজ্জা পাচ্ছি বরাবরের মতো। তবে এখন আমার বন্ধু, ধন্যবাদ শিনা চৌহান, তোমার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি, ভালোবাসা অবিরাম।
লেখক: কণ্ঠশিল্পী/ফেসবুক থেকে