জামালপুরে জমে উঠেছে জেলা পরিষদের নির্বাচন
শরিফুল ইসলাম ঝোকন: জামালপুরে জমে উঠেছে জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী, জাসদ(ইনু) দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণা করলেও বিএনপি এখনও দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিএনপির কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। জাসদ(ইনু) জেলা কমিটির সভাপতি জুলফিকার মো. জাহিদ হাবিব মনোনয়ন চেয়ে কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। জেলা পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়ন পেতে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পর দলীয় সভানেত্রী আমাকে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে মনোনীত করেছেন। আগামী দিনে জননেত্রীর আস্থাভাজন হয়ে কাজ করতে চাই। তিনি যদি আবারও আমাকে চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করবেন বলে তিনি আশা করছেন। জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জেলা পরিষদের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ মনোনয়ন পেলে তার দীর্ঘ সময়ের রাজনীতি প্রতিফলন ঘটবে বলে আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক নেতা বলেছেন। জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. শহীদুল্লাহ জানান, গত বছরের দায়িত্ব পালন কালে জেলা পরিষদের এডিপি এবংপরিষদেও নিজস্ব তহবিলের আওতায় জেলায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।
এদিকে জেলার আইন পেশায় নিয়োজিত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জাহিদ আনোয়ার মনোনয়ন প্রত্যাশা করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। নিজের প্রার্থিতা ঘোষণার পর জেলার ৭ টি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভা আহবান করে দলীয়ভাবে তিনি একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে নাম প্রেরণ করেছেন। জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলায় তার সমর্থনে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল সমাবেশ করছেন। সরকারের বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী জেলা পরিষদের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামীলীগের এই ৩ প্রার্থীর মধ্যে কে হবেন আগামী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটাই এখন দেখার বিষয়। অপর দিকে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে জাসদ(ইনু) প্রার্থী হয়েছেন জুলফিকার মো. জাহিদ হাবিব। তিনি ঐক্যজোটের মনোনীত হয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং চালাচ্ছেন। বিএনপি আর জাতীয় পার্টি থেকে কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন দল সিদ্ধান্ত দিলে নির্বাচলে অংশগ্রহণ করবেন তারা। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান