আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার নারী প্রেসিডেন্ট মিস পাকের দফতর থেকে প্রচুর সংখ্যায় ভায়াগ্রা কেনার খবর ফাঁস করেছেন একজন বিরোধী রাজনীতিক। তিনি জানতে চেয়েছিলেন জননাঙ্গের অক্ষমতা চিকিৎসার জন্য যে ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়, প্রেসিডেন্টের দফতর কেন সেই ওষুধ কিনেছিল। বিবিসি
সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘অলটিচিউড সিকনেস’ অর্থাৎ উচ্চতায় যারা অসুস্থ বোধ করেন এর ওষুধ হিসেবে সরকার এ ট্যাবলেট কিনেছিল। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি। প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পূর্ব আফ্রিকায় এক সরকারি সফরের আগে তাদের দফতর থেকে ৩৬৪টি ভায়াগ্রা ট্যাবলেট এবং আরও কিছু পিল কিনেছিল।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মিস পাক তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু মিস চইকে প্রভাব খাটাতে দিয়েছেনÑ এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এখন দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তার পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার মানুষ সিউলে বিক্ষোভ করছে।
ভায়াগ্রা কেনার এ খবরে প্রেসিডেন্ট যে সরকার চালানোর ব্যাপারে কতটা অনভিজ্ঞ তা নিয়ে নানা কথা উঠছে। বহু কোরীয় বলছেÑ মিস পাক একটা ‘অন্য দুনিয়ায়’ বাস করেন। আর এ কারণে তার উপর পদত্যাগের জন্য রাজনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। এমন গুজবও বাজারে রটেছেÑ মিস পাক এবং তার বন্ধু মিস চই কোনো ধরনের ধর্মবিশ্বাস ভিত্তিক গোপন আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
মিস পাকের দীর্ঘদিনের বান্ধবী মিস চই, চই তাই-মিন নামে এক ব্যক্তির কন্যা, যিনি আপাতদৃষ্টিতে একজন ধর্মীয় নেতা, তবে তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। মিস পাকের বাবা ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, চই তাই-মিন ছিলেন তার বন্ধু। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী