ছানাউল্যাহ নূরী, গাজীপুর: রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৭০টি মামলায় সাড়ে তিন বছর জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
গতকাল বুধবার বেলা ১টার দিকে কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান তিনি। কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেলার নাসির আহমেদ জানান, মাহমুদুর রহমানের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তা যাচাই-বাছাই শেষে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ঢাকায় ফেরার পর বিকাল ৪টায় মাহমুদুরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ঘাড়ে ও হাতে ব্যথা অনুভব করছেন বলে বিএনপি নেতা শামীমুর রহমান শামীম জানান। শামীম ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
কারাফটকে উপস্থিত ছিলেনÑ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আক্তার, কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক স¤পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শিক্ষাবিষয়ক স¤পাদক ওবায়দুর রহমান, সহ-প্রচার স¤পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মেয়র মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা নুরুসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক বিচারকের কথিত কথোপকথন পত্রিকায় প্রকাশের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে মাহমুদুর রহমান ও পত্রিকাটির প্রকাশক মো. হাসমত আলীর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল এ মামলায় মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম